অঘোষিত সেমিফাইনালে টাইগারদের ভরসা স্পিনে নাকি পেসে?

এশিয়া কাপে সুপার ফোরের দ্বিতীয় ম্যাচে আফগানিস্তানকে ৩ রানে হারিয়ে ফাইনালে যাওয়ার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রেখেছে বাংলাদেশ। অন্য ম্যাচে পাকিস্তানকে একপেশে ম্যাচে হারিয়ে নিজেদের সক্ষমতা জানান দিয়ে ফাইনালে পৌঁছেছে ভারত। তাই সহজ সমীকরণে দাঁড়িয়েছে এশিয়া কাপ। বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের মধ্যকার সুপার ফোরের ম্যাচে ২৬ সেপ্টেম্বর যারা জিতবে, তারাই ফাইলনালে মুখোমুখি হবে ভারতের। আবুধাবির শেখ যায়েদ স্টেডিয়াম অপেক্ষায় আছে আরেকটি টিকে থাকার লড়াইয়ের। তবে এই ম্যাচে বাংলাদেশের প্রধান অস্ত্র স্পিন হবে নাকি পেস, সে বিষয়ে ভাবতে হবে বিসিবিকে।

বাংলাদেশ দল যেভাবে আফগানিস্তানকে মাত্র ২৫০ রানে আটকে দিয়েছে, সেখানে স্পিনাররা বেশি ভূমিকা রেখেছেন। এমনকি ডট বল দিয়ে আফগানদের চাপে রেখেছিলেন অপু, মিরাজ, মাহমুদউল্লাহ ও সাকিবরা। তাতেই শেষ পর্যন্ত জয়ের দেখা পেয়েছে স্টিভ রোডসের শিষ্যরা। অন্য ম্যাচে পাকিস্তানকে বলা চলে একাই আটকে দিয়েছেন জসপ্রীত বুমরাহ। অন্য বোলারদের চেয়ে গড়ে অনেক কম রান দিয়ে দুই উইকেট পেয়েছেন তিনি। আরেক পেসার কূলদ্বীপ যাদবও পেয়েছেন দুই উইকেট। স্পিনারদের মধ্যে শুধু যুঝবেন্দ্র চাহাল পেয়েছেন দুই উইকেট। তাই দুবাইয়ের মাঠে পিচের অবস্থার কারণে পেসাররা বেশি সুবিধা পেয়েছেন, নাকি সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরাই পেস কিংবা স্পিন কোনোটাই খেলতে পারছেন না- এসব নিয়ে ভাবতে হবে নির্বাচকদের।

গতকাল আফগানিস্তানের বিপক্ষে একাদশে ছিলেন না রুবেল হোসেন। তাঁর বদলে দলে এসেছিলেন নাজমুল ইসলাম অপু। আট ওভার বল করে কোনো উইকেট না পেলেও মাত্র ২৯ রান দিয়েছেন এই স্পিনার। তাঁর বল যেন খেলতেই পারছিলেন না মোহাম্মদ শেহজাদ। অন্যদিকে স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ নয় ওভার বল করে একটি মেডেন পেয়েছেন এবং দিয়েছেন মাত্র ৩৬ রান। পরে মাহমুদউল্লাহ বোলিংয়ে এসেই তুলে নেন শেহজাদকে। পাঁচ ওভার বল করে মাত্র ১৭ রান দিয়ে এক উইকেট পেয়েছেন তিনি। ফলে সব মিলিয়ে চারজন স্পিনার ব্যবহার করে সাফল্য পেয়েছেন অধিনায়ক মাশরাফি। অন্যদিকে সবচেয়ে বেশি রান দিয়েছেন মাশরাফি এবং সাকিব। ১০ ওভারে ৬২ রান দিয়েছেন দলীয় অধিনায়ক। পরে অবশ্য দুটি উইকেটও পেয়েছেন তিনি। সাকিব একটি উইকেট পেলেও ধারালো বোলিং উপহার দিতে পারেননি দলকে। একমাত্র পেসার হিসেবে খেলা মুস্তাফিজ শেষ ওভারে জিতিয়েছেন দলকে। পেয়েছেন দুটি উইকেটও। তবে একই সূত্র পাকিস্তানের বিপক্ষেও খাটবে কি না, সেটিও ভাবতে হবে নির্বাচকদের।

এশিয়া কাপের এই আসরে প্রথমবারের মতো মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। সবকিছু বিশ্লেষণ করে দলীয় সমন্বয় কেমন হবে, সেটি ম্যাচে জয়লাভের চেয়ে বড় কথা নয়। সুপার ফোরের শেষ ম্যাচ জিতে বাংলাদেশ ফাইনাল খেলবে, এই অপেক্ষায় থাকবেন ভক্তরা।