অনলাইন প্রচারণায় শক্তি বাড়িয়েছে আওয়ামী লীগ

অনলাইন প্রচারণায় শক্তি বাড়িয়েছে সরকারি দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। সরকার বিরোধী এসব নানা গুজব মোকাবেলা করে তরুণ ভোটারের মন জয় করাই এখন তাদের মূল লক্ষ্য। বিটিআরসির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী দেশে ৯ কোটি ৫ লাখ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন।

আর নির্বাচন কমিশনের সবশেষ তথ্য বলছে, দেশে মোট ভোটার সংখ্যা ১০ কোটি ৪২ লাখ প্রায়। এ দুটি পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট আগামী সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে কতটা গুরুত্ব পাচ্ছে অনলাইন প্রচারণা।

নির্বাচনী প্রচারণায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সর্বশেষ ব্যবহারে একাধিক টিম গঠন করেছে সরকারি দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এ কাজে পিছিয়ে নেই এর অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনগুলো। বহু আগেই শুরু হয়েছে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম। এর পাশাপাশি সরূপ রয়েছে দলটির গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রির্সাচ এন্ড ইনফর্মেশন সিআরআই।

সিআরআই ট্রাস্টি নসরুল হামিদ বিপু বলেন, আমরা যে কথাগুলো বলছি সেগুলো সামাজিক মাধ্যমে অবশ্যই ডিবেডেবল হয়। আমরা ভুলটাও শুনতে চাই। আমরা আমাদের মতো প্রকাশ করতে চাই। তারপর প্লাটফর্ম দিতে হবে, যারা আছে তাদের মধ্যে একটা যাচাই-বাছাইয়ের একটি জায়গা তৈরি করতে হবে। সামাজিক মাধ্যমকে আমরা এইভাবেই হ্যান্ডেল করছি।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, বিগত দুটি নির্বাচনেই নতুন ভোটাররা বড় ভ‚মিকা রেখেছে। এই বিষয়টি মাথায় রেখে চলছে দলীয় ইশতেহার প্রণয়নের কাজ।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ড. আব্দুল রাজ্জাক বলেন, আগামীদিনে তরুণদের চাকরি সংস্থার কথা চিন্তা করে এবং তাদের মেধা ও সৃজনশীলতাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য নানাভাবে সুযোগ সুবিধা দিতে হবে। অর্থনীতি থেকে শুরু করে সকল সুবিধা দিতে হবে। আমরা সেগুলো নিয়ে চিন্তা করছি। কাজেই আমার মনে হয় না আমাদের ব্যর্থ হওয়ার কোনো সুযোগ আছে।

তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, বিগত ৫ বছরে অনলাইনে সরকার বিরোধী প্রচারণা ও নানা গুজব এতটাই ছড়ানো হয়েছে যে সরকারি দলের জন্য তা মোকাবেলা করাটাই একটা বড় চ্যালেঞ্জ। সে সঙ্গে সরকারি দলকে মোকাবেলা করতে হবে স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের অপপ্রচারগুলো।