অনার্সে প্রথম হওয়া শাবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের মো. তহিদুর রহমান প্রতীক (২৫) নামের এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে বলে জানা গেছে। নিহত প্রতীকের বোন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা শান্তা তৌহিদা তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে বিষয়টি নিশ্চিত জানান, ‘আমার কলিজার টুকরা ফ্যানে ঝুলে সুইসাইড করছে …আমি আসতেছি ভাইয়া…আল্লাহ তুমি কোন মিরাকল করে দাও…আমার ভাইরে ফেরত দাও।’

নিহত প্রতীকের বোন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা শান্তা তৌহিদা তার ফেসবুক স্ট্যাটাস। ছবিঃ ফেসবুক থেকে।

এ সময় তিনি প্রতিকের মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে আরেক স্ট্যাটাসে জানান, ‘আমার কলিজার টুকরা আমার আদরের একমাত্র ভাই আমার প্রতীক আর নাই… শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগকে আমি ছাড়ব না, অনার্সে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হওয়া ছেলেটাকে বিভিন্ন ইস্যু বানায়ে মাস্টার্স এ সুপারভাইজার দেয় নাই… বিভিন্ন কোর্সে নম্বর কম দিয়েছে! আমার ভাইটা টিচার হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিল এটাই তার অপরাধ… গত ছয় মাস ধরে ডিপার্টমেন্ট তিলে তিলে মেরে ফেলছে আমার ভাইকে…আমার কলিজার টুকরা কষ্ট সহ্য না পেরে কাল সুইসাইড করেছে..আমার কলিজার টুকরা ছাড়া আমি কিভাবে বাঁচব? ভাইরে আমি আসতেছি তোর কাছে ভাই…!’

নিহত প্রতীকের বোন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা শান্তা তৌহিদা তার ফেসবুক স্ট্যাটাস।

এছাড়া তিনি আরেক স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘আমার ভাইটারে গত মাসেও আমি জিজ্ঞেস করেছি আমি কী তোর বিভাগের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে মামলা করব? আমার ভাই বলছে আপু আমি জিআরআই দিয়েছি আপু, আমি ইউকে চলে যাব, আমার তো রেফারেন্স লাগবে! শিক্ষকরা ভয় দেখাইছে কিছু করলে রেফারেন্স লেটার দিবে না… আমার ভাইরে মেরে ফেলছে ওরা …আমি কই পাব আমার টুকরারে আমি কই পাব!’