অফিসে যাওয়ার জন্য নৌকা কিনল কর অফিস

কোমর পানি ডিঙিয়ে অফিস করেছেন তারা। কারণ বান হোক তুফান হোক কর্মস্থলে যেতেই হবে। প্রবল বৃষ্টি কিংবা জোয়ার এলে সবাইকে এ সমস্যার মোকাবেলা করতে হচ্ছে। কিন্তু দিনের পর দিন তো এভাবে চলে না।

এমতবস্থায় উপায় একমাত্র নৌকা। সেই সমস্যা নিরসনে এই বর্ষা মৌসুমে একটি নৌকা কিনেছে চট্টগ্রাম কর অঞ্চল-৪ কর্তৃপক্ষ।

আগ্রাবাদ সিডিএ-১ নম্বর সড়কে হাতেখড়ি স্কুলের বিপরীতে কর অঞ্চল-৪ এর কার্যালয়। সেখান থেকে আগ্রাবাদ মূল সড়কের কাছে ভ্যাট অফিসের কাছে যাওয়া আসার কাজেই এই নৌকায় যাতায়াতের সুবিধা নিচ্ছেন কর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। পাশাপাশি আয়কর দিতে আসা নাগরিকদেরও এই নৌকায় চড়তে দেখা গেছে।

এছাড়া অতিরিক্ত বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে রহিম ম্যানশনের ছয়তলা ভবনটির সামনের সড়কটি নিয়মিতই কোমর থেকে হাঁটু পানিতে তলিয়ে যায়। যার কারণে বাধ্য হয়েই নৌকা কিনতে হয়েছে তাদের।

এ অঞ্চলে কর্মরত কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, আগ্রাবাদ সিডিএ এলাকার প্রায় প্রতিটি সড়কের নিয়মিত দৃশ্য এটি। কোনো সড়কে কোমর পানি, কোনোটিতে হাঁটু পানি ওঠে।

এই এলাকায় কর্মরত সরকারি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আগ্রাবাদ বাদামতলী এলাকায় নেমে সিডিএ এলাকার ভ্যাট অফিসের সামনে এসে পানির কারণে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে রিকশা নিতে হয়।

প্রতিদিনের এ দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে দুই সপ্তাহ আগে লাল রঙের নৌকাটি কেনার কথা স্বীকার করেন কর অঞ্চল-৪ এর কমিশনার আহমেদ উল্লাহ।

তিনি বলেন, প্রায় প্রতিদিনই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে কর্মকর্তা-কর্মচারী ও করদাতাদের আসা-যাওয়াসহ দাফতরিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এ জন্যই নৌকাটি কেনা হয়েছে।

তিনি জানান, দুই সপ্তাহ আগে চট্টগ্রামের কুমিরা এলাকা থেকে প্রায় ২৬ হাজার টাকায় নৌকাটি কেনা হয়। যাত্রী নেয়ার পর নৌকাটিকে কর অফিসের একজন দারোয়ান ঠেলে অথবা দাঁড় বেয়ে চালিয়ে নিয়ে যান।

আগ্রাবাদ সিডিএ এলাকায় বিভিন্ন ভবনে চট্টগ্রামের আয়কর বিভাগের বিভিন্ন অঞ্চলের কার্যালয় রয়েছে। এছাড়া কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও আবাসিক এলাকার বাসিন্দারা নিয়মিতই এ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।

কর কার্যালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী বলেন, এই এলাকার জলাবদ্ধতা শুধু বৃষ্টির কারণে নয়, রৌদ্রোজ্জ্বল দিনেও জোয়ারের পানিতে সড়ক ডুবে যায়। ফলে আমাদের দুর্ভোগের শেষ থাকে না।