অবশেষে চালু হলো বহুল প্রতীক্ষিত রাজধানীর মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার

অবশেষে পুরোপুরি চালু হয়েছে বহুল প্রতীক্ষিত মগবাজার মৌচাক উড়ালসড়ক। দুপুর ১২টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সরাসরি এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মৌচাক মোড়ে ডিজিটাল বোর্ডের মাধ্যমে ফ্লাইওভারের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন অনুষ্ঠানের সময় মৌচাক থেকে মালিবাগ রেলগেট পর্যন্ত রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ ছিল। এ সময় বিকল্প সড়ক ব্যবহারের অনুরোধ জানায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।

উদ্বোধনের সময় সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন: এই উড়ালসড়কের কারণে রাজধানীর যানজট অনেকটা কমবে। এছাড়া সরকারের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

নয় কিলোমিটার দীর্ঘ তিন তলাবিশিষ্ট চার লেনের এই উড়ালসড়ক ১০ মাত্রার ভূমিকম্প সহনশীল। এর নিচে বিভিন্ন জায়গায় আটটি বড় মোড় ও তিনটি রেলক্রসিং আছে।

২০১১ সালে একনেকে এই ফ্লাইওভার নির্মাণ প্রকল্প চূড়ান্ত হওয়ার পর ২০১৩ সালে ১৬ ফেব্রুয়ারি এর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, প্রথমে এ প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩৪৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এরপর বেড়ে ৭৭২ কোটি ৭০ লাখ টাকায় দাঁড়ায়। পরে নকশায় পরিবর্তন আনা হয়। শেষ পর্যন্ত ব্যয় বেড়ে ১ হাজার ২১৮ কোটি ৮৯ লাখ টাকায় গিয়ে ঠেকে।

এ প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকার অর্থায়ন করেছে ৪৪২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। ৭৭৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা দিয়েছে সৌদি ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট (এসএফডি) এবং ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ওএফআইডি)।

চারটি অংশে বিভক্ত প্রকল্পটির তিনটি অংশ আগেই খুলে দেওয়া হয়। এর মধ্যে সাতরাস্তা-মগবাজার-হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল পর্যন্ত অংশটি গত বছরের ৩০ মার্চ যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। ওই বছরের বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর খুলে দেওয়া হয় নিউ ইস্কাটন থেকে ওয়ারলেস মোড় পর্যন্ত এক দিকের অংশ। চলতি বছরের ১৭ মে এফডিসি মোড় থেকে কারওয়ান বাজার পর্যন্ত তৃতীয় অংশ যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়। সর্বশেষ মৌচাক-মালিবাগ-শান্তিনগর-রাজারবাগ-মগবাজার অংশ খুলে দেওয়ার মাধ্যমে চালু হয়ে গেল পুরো ফ্লাইওভারটি। এতে চলাচলে স্বস্তি ফিরবে বলে আশা করছে নগরবাসী।