‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছাটাই গুরুত্বপূর্ণ’

রাজধানীতে গোলটেবিল আলোচনায় সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা আসন্ন নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও অবাধ করার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, এ জন্য সরকারের সদিচ্ছা, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। একই সঙ্গে তাঁরা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং সেনা মোতায়েনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।

রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আজ শনিবার বাংলাদেশের নির্বাচন ও গণতন্ত্রবিষয়ক এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে দ্য ঢাকা ফোরাম নামের একটি সংগঠন।

অনুষ্ঠানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন খান বলেন, সরকার না চাইলে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সোচ্চার হতে হবে। সরকার যাতে হস্তক্ষেপ করতে না পারে, এ জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার লাগবে। সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে।

সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ টি এম শামসুল হুদা সব রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য অনুরোধ জানান।

অনুষ্ঠানের সভাপতি বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘অংশীদারমূলক সরকার না হলে অর্থনীতি ও সংস্কৃতির উন্নয়ন আমরা ভালোভাবে করতে পারব না।’ তিনি সুশাসন ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধে সাবেক রাষ্ট্রদূত সেরাজুল ইসলাম বলেন, সরকার যদি মনে করে, নির্বাচন অবাধ ও স্বচ্ছ করবে, তাহলে তা হবে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা মইনুল হোসেন, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার প্রমুখ।