অবৈধ গ্যাস-বিদ্যুৎ সংযোগের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে দেরি

রাজধানীর মিরপুর ১২ নম্বরে ইলিয়াছ আলী মোল্লা বস্তিতে গ্যাস-বিদ্যুৎ, পানিসহ প্রায় সব সেবাখাতের লাইন অবৈধ। আগুন লাগার পর অবৈধ গ্যাসের লাইনে বিস্ফোরণ ঘটে। বিদ্যুতের চোরাই লাইনের কারণে সাবধানে প্রবেশ করতে হচ্ছে। যে কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লাগে।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) মেজর এ কে এম শাকিল নেওয়াজ বলেন, এখানে বস্তির প্রবেশপথে কাঠের ভ্যান পড়েছিল। সেগুলো সরিয়ে ভেতরে যেতে কষ্ট হয়েছে। এরপর অবৈধ গ্যাসের লাইনে বিস্ফোরণ ঘটছিল। দোকানে ও বাসায় রাখা গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আগুন আরও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আগুন নেভানোর দায় শুধু ফায়ার সার্ভিসকে দিলে চলবে না। সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। নিজের ভেবে এগিয়ে আসতে হবে।

তিনি বলেন, এখানে যে অবস্থা দেখলাম তাতে ওয়াশা, ডেসা, তিতাস ও স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ জরুরি ছিল। কিন্তু সেটা হয়নি। এখানে মাত্র কিছুক্ষণ আগে (সাড়ে ৮টা) ওয়াশার একটি মাত্র পানির গাড়ি পেয়েছি। এটাও ভালো, তবে সবাই এগিয়ে আসলে ভালো হয়। বস্তিকেন্দ্রিক আগুন কেন বেশি হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঢাকা শহরে ২ থেকে ৩ হাজার বস্তি। আমরা এসব বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডবিরোধী প্রচারণা ও আগুন লাগলে কীভাবে জীবন বাঁচানো ও আগুন নেভানের কাজ করতে হবে সেসব ব্যাপারে মহড়া দিয়ে থাকি। কিন্তু আমার মনে হয় সচেতনতাটা ওই পর্যায়ে এখনও যায়নি। সে বিষয়ে চেষ্টা সবাইকে করতে হবে।

রাত সাড়ে ৩টার দিকে মিরপুর ১২ নম্বরে ইলিয়াছ আলী মোল্লা বস্তিতে আগুন লাগে। কিন্তু ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হয় রাত ৪টারও পর। প্রায় এক ঘণ্টা পর ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করতে হয়। ততক্ষণে বস্তিতে লাগা আগুন ভয়াবহ আকার ধারণ করে। ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, আগুন লাগার পর প্রথমে ১৩টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। এরপর সাতটি ও পরে আরও ইউনিট বাড়ানো হয়। ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিফিল ডিফেন্স অধিদফতরের ডিউটি অফিসার মাহফুজুর রহমান জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে আসছে ৭টা ২৪ মিনিটে। তবে এখনও আগুন পুরোপুরি নির্বাপণ সম্ভব হয়নি। আগুন পুরোপুরি নির্বাপণে ২১টি ইউনিট কাজ করছে।