অভিভাবকের থাপ্পড়ে প্রধান শিক্ষকের মৃত্যু, থানা ঘেরাও

নেত্রকোনার কলমাকান্দায় এক ছাত্রের অভিভাবকের থাপ্পড়ের আঘাতে হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। রবিবার সকালে ওই শিক্ষকের বুকে থাপ্পড়ের আঘাতের পর রবিবার রাত ১০টায় তার মৃত্যু হয়।

এই ঘটনায় সোমবার একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সোমবার দুপুরে নিহত ওই প্রধান শিক্ষকের ছোট ভাই আলাল উদ্দিন বাদী হয়ে অভিযুক্ত ছাত্র অভিভাবক চাঁন মিয়াসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে কলমাকান্দা থানায় এ হত্যা মামলাটি দায়ের করেন। তবে এ ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

এদিকে প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন দুলাল (৫০) হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত চাঁন মিয়াসহ তার সহযোগিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে সোমবার সকাল থেকেই উপজেলা সদরে ছাত্র-শিক্ষকসহ এলাকার হাজারো মানুষ দফায়-দফায় বিক্ষোভ মিছিল করতে থাকেন। এক পর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা প্রায় আধা ঘন্টা সময় ধরে কলমাকান্দা থানা ঘেরাও করে রাখেন।

রবিবার সকালে কলমাকান্দার উদয়পুর মিতালী উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের কর্তব্য পালনকালে দেলোয়ার হোসেন দুলাল তার বুকে থাপ্পড়ের আঘাত পান।

পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রবিবার সকালে কলমাকান্দা উপজেলার উদয়পুর মিতালী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্র মারুফ আহমেদকে ষান্মাসিক পরীক্ষার ফি এনে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে বলেন প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন দুলাল। এতে ক্ষিপ্ত হন মারুফের বাবা চাঁন মিয়া। ক্ষিপ্ত চাঁন মিয়া ও তার কয়েকজন স্বজন মিলে বিদ্যালয়ে গিয়ে ওই শিক্ষকের সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে চাঁন মিয়া প্রধান শিক্ষকের বুকে স্বজোড়ে থাপ্পর দেন। এতে আহত প্রধান শিক্ষককে চিকিৎসার জন্য প্রথমে কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি দেখে আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে নেওয়া হয় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। পরে রবিবার রাত ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ওই শিক্ষক।

কলমাকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম মিজানুর রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় চান মিয়াসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এলেই মৃত্যুর রহস্য উদঘাটিত হবে বলেও জানান ওসি।