অমর একুশে বইমেলার পর্দা নামছে আজ

ক্যালেন্ডারের পাতায় ফেব্রুয়ারি মাসের ঠাঁই হয়েছে আঠাশে। বইমেলাও পৌঁছে শেষ প্রান্তে। আজ শেষ হচ্ছে অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৮। আর এর মাধ্যমে ভাঙছে লেখক, পাঠক ও প্রকাশদের মিলনমেলা।

ভাষা শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে ১ ফেব্রুয়ারি মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেষ হাসিনা। এবার প্রথম বড় পরিসরে বাংলা একাডেমি ও এবং তৎসংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মেলার আয়োজন করা হয়।

পাঁচ লাখ বর্গফুট জায়গা জুড়ে হবে মেলার পরিধি ছিল। এবারই মেলায় সময় এক ঘণ্টা বাড়িয়ে রাত নয়টা পর্যন্ত করা হয়েছে।

অমর একুশে গ্রন্থমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশকে ১২টি চত্বরে বিন্যস্ত করা হয়। এসব চত্বরের নাম দেয়া হয়েছে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নামে। একাডেমি প্রাঙ্গনে ৯২টি প্রতিষ্ঠানটিকে ১২৬টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ২৬৩টি প্রতিষ্ঠানকে ৫৮৩টি ইউনিট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। মোট ৪৫৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৭১৯টি ইউনিট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বাংলা একাডেমিসহ ২৪টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ১৫ হাজার ৫৩৬ বর্গফুট আয়তনের ২৪টি প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

বইমেলায় বাংলা একাডেমিসহ অন্যান্য প্রকাশনী সংস্থা ২৫% কমিশনে বই বিক্রি করে। তবে বিকাশের মাধ্যমে মেলা থেকে বই কিনলে আরও ১০% কমিশন মেলে।

প্রতিবারের ন্যায় এবারও বই মেলা জুড়ে ফ্রি ওয়াইফাই ইন্টারনেট পরিষেবা ছিল। মেলার মূল মঞ্চে প্রতিদিন সেমিনার ও সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

এদিকে গতকাল বইমেলার ২৭ তম দিনে নতুন বই এসেছে ২০২টি।

বিকালে গ্রন্থমেলার মূল মঞ্চে ছিল বাংলা একাডেমির অমর একুশে গ্রন্থমেলা এবং বাংলাদেশের প্রকাশনার মান উন্নয়নের সমস্যা শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন খান মাহবুব। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বদিউদ্দিন নাজির, রেজাউদ্দিন স্টালিন এবং মোস্তফা সেলিম। সভাপতিত্ব করেন ফজলে রাব্বি।