অস্ট্রেলিয়ার উপকূলে একসঙ্গে ১৩০ তিমির মৃত্যু

অস্ট্রেলিয়ায় গণহারে প্রায় ১৩০টি ক্ষুদ্রাকৃতির তিমির মৃত্যু হয়েছে। দেশটির পশ্চিমাঞ্চলের সমুদ্রতীর থেকে তিমিগুলোর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ওই এলাকা থেকে অন্তত ১৫টি তিমিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধারকর্মীরা তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা দিয়ে আবারও সাগরে ফেরত পাঠানো উদ্যোগ নিয়েছেন।

পার্থ থেকে অন্তত ১৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে দিনের (শুক্রবার) শুরুতে হামেলিন বে’তে মৃত তিমিগুলোর সন্ধান দেন বাণিজ্যিক এক জেলে। তিনি সেখানে হাঙ্গরের বিচরণও লক্ষ্য করেন। মৃত তিমিগুলোর মাংস খেতে সেখানে হাঙ্গরের উপস্থিতি বলেও জানান তিনি।

ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া স্টেট পার্ক এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ সংস্থা জানায়, ঘটনাস্থলে তাদের কর্মীরা কাজ করছেন। তারা জীবিত অন্তত ১৫টি তিমির সার্বিক শুশ্রুষার বিষয়টি দেখেভাল করছেন। কীভাবে তাদের ফের সমুদ্রে ফিরেয়ে দেয়া যায় সে লক্ষ্যেও তারা কাজ করেছেন।

‘তিমিদের অধিকাংশই রাতভর শুকনা বিচে অবস্থান করে এবং সেখানেই তাদের মৃত্যু হয়’- বলেন তিমিদের উদ্ধারে দায়িত্বরত কর্মকর্তা জেরেমি চিক। বেঁচে যাওয়া তিমিদের উদ্ধারে তারা প্রয়োজনীয় উপকরণ ও সরঞ্জামের অপেক্ষায় আছেন- যোগ করেন তিনি।

‘প্রাণীগুলোর শারীরিক শক্তি এবং প্রচণ্ড ঝড়ো হাওয়া ও ভেজা আবহাওয়া থাকায় উদ্ধারকর্মীদের বেগ পেতে হচ্ছে। কখন, কীভাবে এবং সমুদ্রের কোথায় তাদের ফিরিয়ে দেয়া যায়, সে চেষ্টায় রয়েছেন তারা। তিমিগুলোর পাশাপাশি উদ্ধারকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের জীবনের নিরাপত্তার বিষয়টি আমাদের নিশ্চিত করতে হচ্ছে’- বলেন উদ্ধার কাজে অংশ নেয়া এ সমন্বয়ক।

হামেলিন সৈকতটি ফরাসি অনুসন্ধানকারী জ্যাকস ফেলিক্স এমমানুয়েল হামেলিনের নামে নামকরণকৃত। ১৮০১ সালে তিনি ওই এলাকাটি আবিষ্কার করেন।

কী কারণে এতগুলো তিমির একসঙ্গে মৃত্যু হলো, সে বিষয়টি এখনও পরিষ্কার নয়।

অস্ট্রেলিয়ার উপকূলে তিমি ভেসে ওঠা ও আটকা পড়ার ঘটনা নতুন নয়। ২০০৯ সালে পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার হামেলিন উপকূলে আটকা পড়ার পর ৮০টিরও বেশি তিমি ও ডলফিন মারা যায়। সবচেয়ে বেশি তিমির মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ১৯৯৬ সালে। ওই সময় অন্তত ৩২০টি তিমি উপকূলে ভেসে ওঠার পর আটকা পড়ে। তাদের মধ্যে মাত্র ২০টিকে বাঁচানো সম্ভব হয়।