অস্তিত্ব কাঁপনের দিন || অনিন্দ্য আসাদ

অস্তিত্ব কাঁপনের দিন
অনিন্দ্য আসাদ


শিশিরের পতনের মত করে
নিরবেই উড়ে এসে বসলো আমার সত্ত্বায়, কেঁপে উঠলাম আমি,
দুলে ওঠে নাড়া দিলো
আমার সমস্ত বোধে,
আমি ছাড়া কেউ জানতেই পারলোনা
এত বড় সত্ত্বা কাঁপনের কথা।

সবাই সবার কাজে ব্যস্ত
প্রতিদিনের মতো আজকের
সকালটাও ভিন্ন নয়,
কতো আয়োজন কতযে ব্যস্ততা
এত অল্প সময়ে কে
কাকে মনেরাখে?

সাগর, মহাসাগর, সাহারা ভেনিস বন্দর
টাইগ্রীস, হিচিয়ামা,চীনের সুদীর্ঘ প্রাচীর পেরিয়ে অবশেষে আমার নোনতা রক্ত মেশানো জননী নদী ঘুরে
তিনশত পয়ষট্টি দিন পরে
আবার আমার সত্ত্বাকে নাড়া দিতে
আজকে আসলো সে।
দু’চোখ অশ্রুর জলকণায়
শীতল আবেশে ঝাপসা
হয়ে যাচ্ছে,
পৃথিবীর সব লক্ষ্যবস্তু অন্ধকার
হাত দুটো, দু’পা কেঁপে কেঁপে উঠছে,
অভিকর্ষ বলের প্রভাব
আমার ভেতরে খুব ক্ষীন,
প্রতি বছর এমন অস্তিত্বের ভূকম্পনে
ভেঙ্গে যায় সাজানো কল্পনা
আমার সমস্ত স্বপ্নগুলো।

ধূলিকণা দিয়ে গড়া মূর্তি আমি
প্রতিবছর এমন ঝড় হলে
কেউ যদি শক্তকরে হাত
আগলে নাধরে
তাহলেতো সত্যি সত্যি বাতাসের সাথে
উড়েগিয়ে আমাতেই আমি
নিখোঁজ থাকবো।