আইএসআই’র কোনো কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হয়নি : ড. মোশাররফ

পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই’র এজেন্ট মেহমুদের সঙ্গে কথোপকথনের ভিডিও প্রকাশের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সাংবাদিকদের নিকট প্রেরিত এক প্রেস নোটে তিনি উল্লেখ করেন, সম্প্রতি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া, অনলাইন ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে থাইল্যান্ডভিত্তিক পোর্টাল ট্রিবিউনের বরাত দিয়ে আমার সঙ্গে জনৈক মেহমুদের কথোপকথনের একটি বানোয়াট ফোনালাপের ভিডিও প্রকাশ ও প্রচার করা হচ্ছে। আমার ভাবমূর্তি নষ্ট, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রচার কাজে বিঘ্ন ঘটানো, আমাকে বিব্রত করা এবং রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্যে বানোয়াট ভিডিওটি প্রকাশ ও প্রচার করা হচ্ছে। যা অনভিপ্রেত। এই বানোয়াট ভিডিওটি হীন উদ্দেশ্যে সৃজিত। জনৈক মেহমুদ নামের ব্যক্তিকে আমি চিনি না বা ভিডিওতে কথিত আইএসআই’র কোনো ব্যক্তি বা কর্মকর্তাকেও চিনি না। কথিত এই ব্যক্তির সঙ্গে বা আইএসআই’র কোনো কর্মকর্তার সঙ্গে কখনো আমার এই ধরনের কথোপকথন হয়নি।

তিনি আরও বলেন, আমি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-১ ও ২ আসনে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী। নির্বাচনী প্রচারকাজে খুবই ব্যস্ত থাকায় প্রেস ব্রিফিং করে উক্ত বিষয়ে প্রতিবাদ করতে পারছি না। এমতাবস্থায় উল্লেখিত সৃজিত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ফোনালাপের ভিডিওটি প্রচার করা থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সকল মহল এবং ব্যক্তির কাছে সবিনয়ে অনুরোধ করছি।

এর আগে বুধবার রাতে ওই ফোনালাপকে নির্বাচনবিরোধী ষড়যন্ত্র বলে দাবি করে ড. মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ এনে দাউদকান্দি মডেল থানায় অভিযোগ দাখিল করেন একই আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মেজর জেনারেল (অব) সুবিদ আলী ভূইয়ার ছেলে ও দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেজর (অব.) মোহাম্মদ আলী সুমন।

এতে ড.মোশাররফ নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার জন্য ষড়যন্ত্র করে রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধ করেছেন বলে অভিযোগ আনা হয়।

দাউদকান্দি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত আলমগীর হোসেন জানান, আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ ধরনের অভিযোগ এফআইআর করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন প্রয়োজন হয়। তাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অভিযোগটি পাঠানো হয়েছে।