‘আইভীর পেছনে পিস্তল হাতে থাকা সুমন যুবদলের’

হকার ইস্যু নিয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ও এমপি শামীম ওসমান সমর্থকদের মধ্যে গোলাগুলি ও সংঘর্ষের একসময়ের দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী নিয়াজুল পিস্তল বের করে গুলি করলেও তাকে নিয়ে সাফাই গাইলেন শামীম ওসমান।

তিনি নিয়াজুলের পক্ষ নিয়ে আইভীর ওপর দোষ চাপিয়ে দিলেন এবং আইভীর কাধের ওপর ভর করে বিএনপির ক্যাডাররা হকার ও আওয়ামী লীগের নেতাদের ওপর গুলি ছুড়েছেন বলে দাবি করেছেন। নিয়াজুল আত্ম-রক্ষার্থে লাইন্সেকৃত পিস্তল বের করেছে।

বুধবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ রাইফেল ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে শামীম ওসমান এসব কথা বলেন। ওই সময় তিনি ঘটনার দিনের কিছু ভিডিও ও বিএনপির ক্যাডার ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুফিয়ানের হাতে পিস্তলের ছবি দেখিয়ে হাত উঁচু করে সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন।

শামীম ওসমান বলেন, নিয়াজুল কে এটা জানা দরকার। নিয়াজুল নারায়ণগঞ্জ শহরের একটি বিশাল মার্কেটের মালিক। নিয়াজুল এক সময়ের আমার কর্মী ছিল। সে হলো আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলাম সুইটের ছোট ভাই। বিগত বিএনপি সরকারের আমলে কারাগারে থাকা সুইটকে বাইরে এনে হত্যা করা হয়েছে। সেই সুইটের ভাই মঙ্গলবার বিকেলে একা একা হেঁটে আসার সময় মিছিল থেকে তিনবার মাটিতে ফেলে ১০ মিনিট ধরে পেটানো হয়। চতুর্থবার বাধ্য হয়ে নিয়াজুল লাইসেন্স করা পিস্তল বের করে। তার পিস্তলটি খোয়া গেছে কিন্তু পুলিশ মামলা নেয়নি। আর আইভীর বন্ধু আবু সুফিয়ান তার পেছন থেকে পিস্তল বের করেছে। এটা আমার কাছে ভিডিও ছবি রয়েছে।

তিনি আরও বলেছেন, মেয়র আইভী নিয়াজুলকে আমার লোক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাইছেন। কিন্তু আইভী কাদের নিয়ে হকারদের বিপক্ষে মাঠে নেমেছেন? মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, বিএনপির ক্যাডার সুমন, আর জোড়া খুনের মামলার আসামির লোকজন বেষ্টিত হয়ে মিছিল নিয়ে আসলো আইভী। তাদের মিছিলটি চাষাঢ়ায় আসার পর সুমন নামের একজনকে গুলি করতে দেখা গেছে। কে এ সুমন? আইভীর পেছনে থাকা পিস্তল হাতে নিয়ে সুমন নামে যেই লোকটি গুলি করছেন সে যুবদলের।