‘আওয়ামী লীগ একটি শক্তিশালী বিএনপি দেখতে চায়’

আওয়ামী লীগ একটি শক্তিশালী বিএনপি দেখতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

মঙ্গলবার আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপিকে দুর্বল করার জন্য আর কারো চেষ্টা করার প্রয়োজন নেই। কারণ বিএনপি যেভাবে নির্বাচন না করা, সংসদে না যাওয়াসহ এ ধরনের আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে, তাতে বিএনপির বিরুদ্ধে অন্য কারো ষড়যন্ত্র করার প্রয়োজন নেই, দুর্বল করার চেষ্টারও প্রয়োজন নেই। বরং আমরা চাই বিএনপি একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক দল হিসেবে থাকুক ও আমাদের সমালোচনা করুক।’

তিনি বলেন, আমরা চাই বিএনপিসহ যারা আমাদের বিরুদ্ধে রাজনীতি করেন, তাদের অবস্থান শক্তিশালী থাকুক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারেরও এটাই চাওয়া। আমরা চাই- তারা আমাদের গঠনমূলক সমালোচনা করুক।

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমালোচনাকে সমাদৃত করার রাজনীতি করেন। আমরা চাই, তারা সংসদে এসেও আমাদের সমালোচনা করুক। আমরা মনে করি, সমালোচনা যেকোনো কাজকে শাণিত ও পরিশীলিত করে। এসময় বিএনপি সেই পথ অনুসরণ না করে নিজেদের দুর্বল করা ও আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছে।

হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপিসহ বাংলাদেশে একটি চক্র চায় এদেশের নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হোক। জাতীয় নির্বাচনকে আন্তর্জাতিকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করতে তারা ষড়যন্ত্র করে। আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির হুমকি উপেক্ষা করে তাদের দলেরই অনেকে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছে। আমরা মনে করি, উপজেলা নির্বাচনও সংসদ নির্বাচনের মতো উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে।

জামায়াতে সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘জামায়াত নিজেদের আড়াল করার জন্য নানা কৌশল অবলম্বন করতে পারে। জামায়াত বিলুপ্ত করার ঘোষণা তাদের কৌশলেরই অংশ। যদি নেতৃত্বের পরিবর্তন না হয় এবং দল সংশ্লিষ্টরাই ভিন্ন নামে দল গড়ে তোলে তবে তা নতুন বোতলে পুরনো মদের মতোই। জাতি তাদের (জামায়াতে ইসলামী) ওপর বিক্ষুব্ধ, আন্তর্জাতিক চাপেও আছে তারা। এসবের মুখে দলের নাম পরিবর্তন, বিভিন্নজনের পদত্যাগ- সবই কৌশল মাত্র।’

এর আগে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক উপ কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানকে বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত করার পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে আগামী ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় শিল্পকলা একাডেমিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করার সিদ্ধান্ত হয়।