আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন শেখ রেহানা ও জয়

আগামীতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা। তবে কোন আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নেবেন তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়েরও সম্ভাবনা রয়েছে পীরগঞ্জ থেকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার।

শেখ রেহানার ঘনিষ্ঠ একজনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন এটা বলতে পারি তিনি গোপালগঞ্জের রাজনীতিতে জড়িত হয়েছেন। তবে এজন্য আগামী নির্বাচনে অংশ নিবেন এটা নিশ্চিত হয়নি, কিন্তু সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি গোপালগঞ্জের একটি আসন থেকে নির্বাচন করবেন বলে কেউ কেউ মনে করছেন এ ব্যাপারে শেখ রেহানা কোন ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, শেখ রেহানা অনেক ধীর স্থির। তিনি হুট করে কোন সিদ্ধান্ত নেন না। অনেক ভেবেচিন্তেই সিদ্ধান্ত নেন। তার টুঙ্গিপাড়ায় রাজনীতিতে জড়িত হওয়া একটি সূদূর প্রসারী চিন্তার অংশ।

শেখ হাসিনার একটি ঘনিষ্ট সূত্র জানায়, তিনি (শেখ রেহানা) গোপালগঞ্জে ভোট দিবেন। ভোট দেয়ার জন্য উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য হয়েছেন। ভোট দেয়ার জন্য তো পদে জড়িত হতে হয় না। আগামীতে তিনি টুঙ্গিপাড়ায় ভোট দিবেন।

এদিকে, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়ামের ২টি পদ খালি রাখা হয়েছে। একটিতে শেখ রেহানা। অন্যটিতে সজীব ওয়াজেদ জয়ের সম্পৃক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তারা কেন্দ্রীয় কমিটিতে না থাকলে দু’জনই তৃণমূল রাজনীতিতে রয়েছেন। জয় রংপুরের আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত।

সূত্র জানায়, সবকিছু নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কি চান। তবে তিনি আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের আগে, কাউন্সিলে এবং কাউন্সিলের পরেও নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করার কথা বলেছেন। তিনি বার বারই এটা বলেছেন। তার ওই কথার মধ্যে নতুন নেতা নির্বাচনের ইঙ্গিত ছিল।

সূত্র জানায়, শেখ রেহানাকে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা করা হয়েছে বিষয়টি গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ইলিয়াস হক এই কথা বলেছেন।

প্রসঙ্গত, গত ১৭ জুলাই জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ৭১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। সেখানে ৫৭ জন কার্যনিবাহী কমিটির মধ্যে ১৪ জন উপদেষ্টামন্ডলরি সদস্য। শেখ রেহানাকে উপদেষ্টামন্ডলীর ৩ নম্বর সদস্য করা হয়।

সরকারের নীতি নির্ধারক একজন মন্ত্রী বলেন, শেখ রেহানা ও সজীব ওয়াজেদ জয় রাজনীতিতে আছেন। তবে তারা যেহেতু আরও অন্যান্য কাজ করেন এই কারণে পুরোপুরি রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হতে পারছেন না। তবে আগামী দিনে তাদের দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

তারা আগামী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেটাতো হতেই পারে। তবে এই ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নিবেন।

আগামী নির্বাচনে তারা অংশ নিবেন কিনা জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, এটা হতে পারে।