আগামী সপ্তাহে ভারত যাচ্ছেন মার্কিন দূত নিক্কি হ্যালি

জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী প্রতিনিধি নিক্কি হ্যালি আগামী সপ্তাহে দ্বিপক্ষীয় সফরে ভারত আসছেন।

সফরকালে ভারতের পররাষ্ট্র দফতর, ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজর অজিত দোভালের সঙ্গে বৈঠক করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অন্যতম আস্থাভাজন সহকারী নিক্কি হ্যালি।

আগামী ২৭ জুন তিনি একটি থিংক ট্যাংক প্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও তার সাক্ষাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

হ্যালি এমন সময় ভারত সফরে আসছেন, যখন দুটো বড় ইস্যুতে দুই দেশের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে। ইস্যু দুটি হল- ইরানের পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বেরিয়ে আসা এবং রাশিয়ার সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা।

সূত্র জানিয়েছে, আগের নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী এই দ্বিপক্ষীয় সফর হচ্ছে। আগামী ৬ জুলাই ওয়াশিংটন ডিসিতে দুই দেশের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী পর্যায়ের যে ২+২ আলোচনার কথা রয়েছে, তারই প্রস্তুতি হিসেবে এ সফর হচ্ছে।

সূত্র জানিয়েছে, হ্যালির সফরে বৈশ্বিক ইস্যুগুলো উঠে আসবে এবং ভারতীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় জেসিপিওএ থেকে ট্রাম্প প্রশাসনের বেরিয়ে আসার বিষয়টিও আলোচিত হবে।

সাউথ ব্লক গত এক বছর ধরে মার্কিন কর্মকাণ্ডের উপর নজর রাখছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মার্কিন তৎপরতার গতিপ্রকৃতি অনুমান করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

পি-৫+১ ও ইরানের মধ্যে যে পারমানবিক চুক্তি হয়েছিল (জেসিপিওএ) সেখান থেকে বেরিয়ে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র।যদিও ইউরোপিয়ান দেশগুলো, চীন ও রাশিয়া চুক্তি বজায় রেখেছে।

১২ জুন সিঙ্গাপুরে বৈঠক করেছেন ট্রাম্প এবং উত্তর কোরিয়ার নেতা কিং জং উন। দুই দেশের নেতাদের মধ্যে এটি প্রথম বৈঠক।

বৈঠকে কোরীয় উপদ্বীপকে পারমাণবিকীকরণ থেকে মুক্ত করার ব্যাপারে আলোচনা হয়। অন্যদিকে কাউন্টারিং অ্যামেরিকাস অ্যাডভার্সারিজ থ্রু স্যাঙ্কশান্স অ্যাক্টের (সিএএটিএসএ) অধীনে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে মার্কিন কংগ্রেস। এ সিদ্ধান্তের কারণে রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের প্রতিরক্ষা চুক্তিগুলোর ওপর বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে।

সালিসবেরিতে রাসায়নিক হামলার ফল রাশিয়ার সঙ্গে পশ্চিমাদের উত্তেজনা মারাত্মক বেড়ে গেছে।

একে অন্যের দেশ থেকে কূটনীতিকদের বহিষ্কারের ঘটনাও ঘটেছে। এসব ঘটনা ঘটেছে মোদির উহান ও সোচি সম্মেলনের আগে।

যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের নীতিগত পরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে দিল্লির মনোভাব সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা নিতেই মার্কিন প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা ভারত সফরে আসছেন। একই সঙ্গে ভারত সরকারের কাছে ট্রাম্পের বার্তাও পৌঁছে দেবেন নিক্কি হ্যালি।

সূত্র : সাউথ এশিয়ান মনিটর