আগামী ৭ অক্টোবর থেকে ২২ দিন ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ

ইলিশ সম্পদ সংরক্ষণে ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমের কারণে আগামী ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২২ দিন প্রজনন ক্ষেত্রের ৭,০০০ বর্গকিলোমিটার এলাকায় সকলপ্রকার মৎস আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ এবং ক্রয়-বিক্রয় সরকার সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।

রোববার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দের সভাপতিত্বে প্রধান প্রজনন মৌসুমে ‘মা-ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০১৮’ বাস্তবায়ন সংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্স কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

সভায় প্রজনক্ষেত্রসমূহ চিহ্নিত করে মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এজন্য চারটি পয়েন্ট নিধারণ করা হয়েছে। এগুলো হলো-

১. মীরসরাই উপজেলার শাহের খালী হতে হাইতকান্দী পয়েন্ট

২. তজুমুদ্দীন উপজেলার উত্তর তজুমুদ্দীন হতে পশ্চিম সৈয়দপুর আওলিয়া পয়েন্ট

৩. কলাপাড়া উপজেলার লতা চাপালি পয়েন্ট, এবং

৪. কুতুবদিয়া উপজেলার উত্তর কুতুবদিয়া হতে গণ্ডামার পয়েন্ট।

ইলিশের নিরাপদ প্রজননের লক্ষ্যে চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, শরীয়তপুর, ঢাকা, মাদারীপুর, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, জামালপুর, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, মানিকগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মুন্সীগঞ্জ, খুলনা, সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়া, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, নাটোর, পাবনা, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও গোপালগঞ্জ জেলার সকল নদ-নদীতে এসময় সকল প্রকার মাছধরা বন্ধ থাকবে।

এছাড়া দেশের সুন্দরবনসহ সমুদ্র উপকূলীয় এলাকা এবং মোহনাসমূহেও এই ২২দিন মাছধরা বন্ধ থাকবে। দেশের মাছঘাট, আড়ত, হাটবাজার, চেইনশপসহ সংশ্লিষ্ট এলাকায় ২২ দিন অভিযানও পরিচালিত হবে।

ইলিশসম্পদ রক্ষায় জেলে সম্প্রদায়, মৎস্য সমিতি, সধারণ জনগণসহ প্রশাসনের সংশ্লিষ্টদের এসময় সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন মন্ত্রী।

সভায় মৎস্য সচিব রইছউল আলম মণ্ডল, মৎস্য অধিদফতরের ডিজি আবু সাইদ মো. রাশেদুল হক, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ডিজি ইয়াহিয়া মাহমুদ, জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি ও সেক্রেটারি ইসলাম আলী ও ফনী ভূষণ মালোসহ নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ড, পুলিশ, বিমানবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।