আগুনে চলন্তিকা বস্তির ৩ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত

মিরপুর ৭ নম্বর ঝিলপাড়ের চলন্তিকা বস্তিতে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় তিন হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগুনে ৫০০-৬০০টি ঘর পুড়ে গেছে।

শনিবার সকালে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক রেজাউল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, চলন্তিকা বস্তিতে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত সবগুলো ঘরই ছিল কাঁচা। এতে কিছু ঘর দেবে গেছে এবং ঘরের চালা চাপা পড়েছে। এজন্য এসব ধ্বংসস্তূপ অপসারণে আমাদের সময় লাগছে। এসব অপসারণ করে ভেতরে কোনো ভিকটিম আছে কিনা আমরা সার্চিং করে দেখছি। আগুনে প্রায় ৫০০-৬০০টি ঘর পুড়ে গেছে। এতে প্রায় তিন হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে রেজাউল করিম বলেন, আগুনের উৎস আমরা এখনও বের করতে পারিনি। তবে আগুনটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। অনুসন্ধান শেষে আগুনের উৎস নিশ্চিত করে বলা যাবে।

তিনি আরও বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে প্রধান সমস্যা বস্তির এন্ট্রি পয়েন্ট একটি এবং সরু গলির কারণে বস্তি পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি যায়নি। যার ফলে ততক্ষণে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে।

‘এছাড়া পানির সংকট ছিল। আমরা গাড়ির মাধ্যমে এবং আশে-পাশের গার্মেন্ট থেকে পানি নিয়ে কাজ করেছি। আগুন আশে-পাশের ভবনে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা ছিল, কিন্তু সেটি আমরা রোধ করতে পেরেছি।’

রূপনগর থানার পেছনে চলন্তিকা মোড়ে অবস্থিত বস্তিতে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা ২২ মিনিটে আগুনের সূত্রপাত হয়।

আগুন লাগার প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস।

এ ঘটনায় চারজন আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আগুনে ক্ষতিগ্রস্থদের সাহায্য ও আহতদের চিকিৎসা সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে বহন করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।