আঙুলে অপারেশনের জন্য এশিয়া কাপ মিস করবেন সাকিব?

টিম বাংলাদেশের প্রাণ ও চালিকাশক্তি বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের বাঁ হাতে কনিষ্ঠা আঙুলে কি ঈদের পর পরই অস্ত্রপ্রচার করা হবে? সাকিব আল হাসান কি এশিয়া কাপ খেলতে পারবেন? না মিস করবেন?

হাব ভাবে মনে হচ্ছে, আগামী মাসে (সেপ্টেম্বরের ১৫-২৮) এশিয়া কাপ খেলার সম্ভাবনা কম সাকিবের। তার আগেই হয়তো তার বাঁ হাতের কনিষ্ঠা আঙুলে অপারেশন হতে পারে। আর তা হলে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের পক্ষে কিছুতেই এশিয়া কাপে খেলা সম্ভব হবে না।

সাকিবের হাতের আঙুলে সমস্যা। তা নিরসনে অপারেশন হতে পারে, কদিন ধরেই ক্রিকেট পাড়ায় এমন গুঞ্জন। সে গুঞ্জনটা প্রবল হয়েছিল, বিসিবি প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরীর মন্তব্যে। গত পরশু জাগো নিউজের সাথে আলাপে ডা. দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, ‘দীর্ঘ মেয়াদে সাকিবের আঙুলের ব্যথার কার্যকর চিকিৎসা হচ্ছে অস্ত্রোপচার। ইনজেকশনে সাময়িকভাবে ব্যথা কমলেও আবার তা মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। তাই সাকিবের ঐ ব্যাথার চিরস্থায়ী সমাধান হলো অপারেশন। তবে অপারেশনের পর সাকিবের সম্পূর্ণ সেরে উঠে মাঠে ফিরতে অন্তত দেড় থেকে দুই মাস লাগবে।’

আজ সকালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর যুক্তরাষ্ট্র থেকে জাতীয় দল ফেরার পর সে গুঞ্জন আরও প্রবল হলো। কারণ, সাকিব নিজেই বিমান বন্দরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপে আকার ইঙ্গিতে বুঝিয়েছেন, খুব শীঘ্রই তার অপারেশন হবে।

সাকিবের বাঁ হাতের কনিষ্ঠা আঙুলে সমস্যার কথা কম বেশি জানা ছিল। কারণ যে হাতে বোলিং করেন, সেই বাঁ হাতের কনিষ্ঠা আঙুলে সমস্যা কয়েক মাস ধরেই। যেহেতু সাকিব খুব ভালো করেই জানেন অপারেশন করাতেই হবে। তাই যত শীঘ্র সম্ভব তা করে নেয়াই উত্তম। এমন চিন্তাভাবনা মাথায় টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের।

বৃহস্পতিবার সকালে হযরত শাহজালাল বিমান বন্দরে অবতরণের পর মিডিয়ার সাথে আলাপে সাকিব মোটামুটি আভাস দিয়েই ফেলেছেন, খুব শীঘ্রই অপারেশন করতে চান তিনি। এবং হয়তো সেটা এশিয়ার কাপের আগেই হবে। সাকিবের কথা, ‘এটা আসলে এখন আমরা সবাই জানি যে সার্জারি করতে হবে। ওটা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে; কোথায় করলে ভালো হয়, কবে করলে ভালো হয়। তবে আমি মনে করি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব করে ফেলা ভালো।’

সেই তাড়াতাড়ি কবে? সামনের মাসেই তো এশিয়া কাপ আরব আমিরাতে। তারপর অক্টোবর-নভেম্বরে জিম্বাবুয়ের সাথে হোম সিরিজ । এরপর আবার নভেম্বর-ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ আসবে। আগামী বছর ফেব্রুয়ারি-মার্চে নিউজিল্যান্ড সফর। তারপর বিশ্বকাপ ইংল্যান্ডে।

মাঝে জানুয়ারিতে দেশের মাটিতে বিপিএল এবং এপ্রিলে ভারতে আইপিএল। টানা খেলা। ব্যস্ত সিডিউল। ওদিকে বিসিবি প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী বলেই রেখেছেন, অপারেশনের ধকল কাটিয়ে সম্পূর্ন সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরতে অন্তত দেড় থেকে দুই মাস লাগবে।

তার মানে, যদি কোরবানির ঈদের পর অপারেশন হয়, তাহলে সাকিবের মাঠে ফিরতে ফিরতে অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহ। তার আগে জিম্বাবুয়ে চলে আসবে। অক্টোবরের ২১ , ২৪ আর ২৬ অক্টোবর জিম্বাবুয়ের সাথে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। সেখানে সাকিবের খেলার সম্ভাবনা থাকবে। আর ওয়ানডে সিরিজের আগে পুরোপুরি ফিট না হলে টেস্ট সিরিজের আগে হয়তো ফিট হয়ে যাবেন। ৩ নভেম্বর থেকে সিলেটে শুরু বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের প্রথম টেস্ট।

কাজেই এশিয়া কাপের আগে, মানে ঈদের পরই হচ্ছে সেরা সময়। যেহেতু মাস দুয়েক খেলার বাইরে থাকতেই হবে, তাই ঐ সময়ে অপারেশনটা করিয়ে নিলে হয়তো শুধু এশিয়া কাপটাই মিস হবে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাঠে ফেরার সম্ভাবনা থাকবে যথেষ্ট। আর তারপরে করালেই ব্যস্ত সফর সূচীর মধ্যে মাঠের বাইরে কাটাতে হবে।

যদিও সাকিব এখন পর্যন্ত নিশ্চিত করে কিছু জানাননি। তবে সার্জারি এশিয়া কাপের পরে না আগে? এমন প্রশ্নে টাইগার অলরাউন্ডারের উত্তর, ‘ফিজিও ভালো বলতে পারবেন। খুব সম্ভবত এশিয়া কাপের আগেই হবে।’