আজ শহীদ ডা. মিলন দিবস

শহীদ ডা. মিলন দিবস আজ। ১৯৯০ সালের ২৭শে নভেম্বর এরশাদের স্বৈরশাসন বিরোধী আন্দোলনের সময় তৎকালীন সরকারের লেলিয়ে দেয়া সন্ত্রাসীদের গুলিতে ডা: শামসুল আলম খান মিলন শহীদ হন।

তিনি এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সংগঠক ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম-মহাসচিব ছিলেন। ডা. মিলনের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়েই স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নতুন গতি সঞ্চার হয়। এবং অল্প কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ছাত্র-গণ অভ্যুত্থানে এরশাদের স্বৈরশাসনের পতন ঘটে।

এই শোকাবহ ঘটনার স্মরণে ১৯৯১ সাল থেকে প্রতি বছর শহীদ ডা. মিলন সংসদ ২৭ নভেম্বর শহীদ ডা. মিলন দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। মিলন হত্যার ২৮ বছর পার হলেও হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে বিচার করা যায়নি এখনো।

দিনটি স্মরণে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ তার বাণীতে গণতন্ত্র ও উন্নয়নকে একে অপরের পরিপূরক উল্লেখ করে বলেন, “টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রাকেও বেগবান করতে হবে।”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে ডা.শামসুল আলম খান মিলনের ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। বাণীতে তিনি শামসুল আলম খান মিলনের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।

শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলন দিবস উপলক্ষে আজ সকাল ৮টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ চত্বরে শহীদের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এ উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

ডা. মিলনের জন্ম ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দের ২১ আগস্ট। ১৯৭৩ সালে এসএসসি ও ১৯৭৫ সালে এইচএসসি পাশ করেন তিনি। এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন (ব্যাচ কে-৩৪)। ১৯৮৩ সালে তিনি এমবিবিএস ডিগ্রী লাভ করেন ও ডাক্তারী পেশায় যোগ দেন।

ঘটনার দিন দেশব্যাপী রাজপথ-রেলপথ অবরোধ আন্দোলন চলছিল। বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের একটি সভায় যোগ দিতে রিকশাযোগে পিজি হাসপাতালে (র্বতমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) যাচ্ছিলেন ডা. মিলন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে টিএসসি এলাকা অতিক্রমের সময় সন্ত্রাসীরা তার ওপর গুলি চালায়। তাৎক্ষণিকভাবে মৃত্যু হয় তার। তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে দাফন করা হয়।