আন্তর্জাতিক আদালতে যাচ্ছে অবরোধে ক্ষতিগ্রস্ত কাতার

তিন প্রতিবেশিসহ মিসরের আরোপিত নিষেধাজ্ঞার বেড়াজাল থেকে বেরিয়ে আসতে আন্তর্জাতিক ন্যায় বিচার চাওয়া শুরু করেছে মধ্যপ্রদেশের কাতার।

এ ব্যাপারে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লুলওয়া আল খাতের বুধবার ঘোষণা দিয়েছেন। অবরোধের কারণে ওই অঞ্চলের মানুষের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে তদন্তের পর জাতিসংঘ এমন তথ্য জানানোর কয়েকদিন পর কাতার আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতা চাওয়া শুরু করেছে বলে জানালো।

তিনি বলেন, ‘অবরোধ শেষ করতে ও ন্যায়বিচার চাওয়ার জন্য আমরা ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে অথবা আন্তর্জাতিক আদালত অথবা জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠানে যাওয়া শুরু করেছি।’

কাতারের রাজধানী দোহায় এক সংবাদ সম্মেলনে খাতের এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের জন্য সব পথই খোলা আছে।’

গত বছরের নভেম্বরে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনের (ওএইচসিএইচআর) প্রতিনিধিরা কাতার সফরে যান। সেখানে তারা অবরোধে ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ মানুষ ও দেশটির সরকারি ও সুশীল সমাজের ২০টি গোষ্ঠীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

১৭ থেকে ২৪ নভেম্বর কাতার সফরের পর দেশটির জাতীয় মানবাধিকার কমিটির কাছে একটি প্রতিবেদন পাঠায় ওএইচসিএইচআর। অবরোধের কারণে কাতারের মানুষ বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়।

সন্ত্রাসবাদে সমর্থন ও অর্থায়নের অভিযোগ এনে গত ৫ জুন সৌদি আরব ও এর মিত্র দেশগুলো উপসাগরীয় প্রতিবেশী কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কচ্ছেদের ঘোষণা দেয়। এর জেরে গত দশকের মধ্যে নজিরবিহীন কূটনৈতিক সংকট শুরু হয় পুরো মধ্যপ্রাচ্যে। সৌদি আরবের আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইরান ঘনিষ্ঠতার অভিযোগও আনা হয় কাতারের বিরুদ্ধে। তবে কাতার সব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছে।

মধ্যপ্রাচ্যের এ নজিরবিহীন সংকটে উদ্বেগ জানিয়ে আসছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। কুয়েতসহ বেশ কয়েকটি দেশ মধ্যপ্রাচ্যের কূটনৈতিক সংকট সমাধানে সহায়তায় এগিয়ে এলেও সংকট কাটেনি এখনো।

সূত্র : আলজাজিরা।