আপনি কি বিয়ে করছেন? তবে এই ৪টি মেডিকেল টেস্ট করিয়ে নিন!

পাত্রপাত্রীর কোষ্ঠি বিচার নয়, বিয়ের আগে তাদের কয়েকটি মেডিকেল পরীক্ষা করানো অতি আবশ্যক। এখনকার সমাজ অনেক এগিয়ে। আগেকার প্রজন্ম এর মাহাত্ম্য না বুঝলেও, আজকালকার আধুনিক ছেলেমেয়েরা কিন্তু এর গুরুত্ব বোঝে।

ফলে, বিয়ে করে পরে কপাল চাপড়ানোর চেয়ে একে অপরের স্বাস্থ্যের হালহকিকতও খতিয়ে দেখে তারা। এক্ষেত্রে পাত্রপাত্রীর বাড়ির লোকেরও তৎপরতা প্রয়োজন। বিয়ের আগে কী কী মেডিক্যাল টেস্ট করানো উচিত জেনে নেওয়া যাক –

শুক্রাণু পরীক্ষা : বিয়ের পর সব দম্পতিই সন্তান নিতে চান। কিন্তু অনেকসময় সন্তান ধারণে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় স্বামী-স্ত্রীকে। এর কারণ হতে পারে স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই। স্ত্রীর শরীর অনেকসময় সন্তান ধারণের উপযুক্ত পরিস্থিতিতে থাকে না বলে সন্তান আসে না। কিন্তু সেটা আগে থেকে জানা যায় না। তবে পুরুষের অক্ষমতা মালুম হয় শুক্রাণু পরীক্ষা করালেই।

ব্লাড গ্রুপ : পাত্রপাত্রীর ব্লাড গ্রুপ জানাও খুব জরুরি। কারণ, নেগেটিভ ও পজ়িটিভ ব্লাড গ্রুপের নারীপুরুষের বিয়ে হলে পরবর্তীকালে সন্তান ধারণে হতে পারে বিপত্তি। তবে এই শঙ্কাটি দেখা দেয় দ্বিতীয় সন্তান প্রসবের ক্ষেত্রে। অনেকসময় গর্ভেই সন্তান মারা যায় বা জন্মের পর তার মারাত্মকরকম জন্ডিস হয়। মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। যদিও আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় এটি রোধ করার পদ্ধতি আছে। সন্তান জন্মানোর সময় মায়ের শরীরে অ্যান্টিবডি ইঞ্জেকশন দিলে ক্ষতির সম্ভাবনা কমতে পারে।

মানসিক রোগ পরীক্ষা : সাধারণ মেডিক্যাল পরীক্ষায় সাইকোলজিক্যাল সমস্যা ধরা পড়ে না। কিন্তু সত্যি বলতে কী, কোনও ব্যক্তিকে বিয়ে করার আগে সে স্বাভাবিক কি না জানা খুব দরকার। অর্থাৎ, দেখা দরকার তার কোনও মানসিক সমস্যা আছে কি না। এটি খতিয়ে দেখার জন্য পাত্রপাত্রীর আচার ব্যবহার লক্ষ্য করতে হবে। পাড়া-প্রতিবেশী, বন্ধুবান্ধব ও অফিসের লোকজনের থেকে খোঁজখবর নিতে হবে। বিয়ের সময় পাত্রপাত্রীর বাড়ির লোক তাঁদের ছেলেমেয়ে সম্পর্কে কোনও খারাপ কথা বলে না। কিন্তু বিয়ের পর ধরা পড়ে আসল রূপ। সুতরাং, পাত্রপাত্রীর মানসিক সমস্যা আছে কি না সেটা দেখা খুব জরুরি। প্রয়োজনে সাইকোলজিস্টের সঙ্গে কথাও বলতে পারেন।

পাত্র/পাত্রীর ওরিয়েন্টেশন : অনেকসময় ছেলে বা মেয়ের ওরিয়েন্টেশনের বিষয়টা চেপে যায় বাড়ির লোক। ছেলেমেয়ে সমকামী হলে, তাকে সমাজের কটাক্ষ থেকে বাঁচাতে, সমস্ত সত্য গোপন করে, স্বাভাবিক মতে তাদের বিয়ে দেয় বাড়ির লোক। উদ্দেশ্য একটাই, লোকের মুখ বন্ধ করা। এতে হয় ঠিক উলটো। যে মেয়েটি কিংবা যে ছেলেটির সঙ্গে বিয়ে হয়, প্রথম রাতেই সে সবটা জেনে যায়। শুরু হয় অশান্তি। বিষয়টি আত্মহত্যা কিংবা কোর্ট পর্যন্ত গড়াতে পারে। তাই সাবধান। এক্ষেত্রেও সাইকোলজিস্টের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। যে পাত্রপাত্রীকে বিয়ে করতে চলেছেন, তা যদি সম্বন্ধ করে হয়, এই বিষয়টিকেও গুরুত্ব দিন। অবহেলা করবেন না।