আবারও উত্তপ্ত পাক-ভারত সম্পর্ক

কাশ্মির সীমান্তে পুলিশ ও সেনাসদস্য হত্যা এবং জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে দু’দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক বাতিলের প্রেক্ষিতে আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পাক-ভারত সম্পর্ক। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়ে ইমরান খান বলেছিলেন, দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে ভারত এক ধাপ এগিয়ে আসলে তার সরকার দুই ধাপ এগিয়ে যাবে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও ইমরানের আহ্বানের ইতিবাচক সাড়া দিয়েছিলেন। এরপরই দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পথ তৈরি হয়।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেহমুদ কোরেশী এবং ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের মধ্যে বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও তা ভেস্তে গেছে। জম্মু-কাশ্মির সীমান্তে ভারতীয় সেনা ও পুলিশ সদস্যকে অপহরণ এবং হত্যার জন্য পাক সেনাবাহিনীকে দায়ী করে নয়াদিল্লি প্রস্তাবিত বৈঠকটি বাতিল করেছে ভারত। এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইসলামাবাদ।

এ ঘটনার পর পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন, ‘আমি শান্তিপূর্ণ আলোচনার জন্য ভারতকে আহ্বান জানিয়েছিলাম কিন্তু তাদের এরকম ঔদ্ধত্যপূর্ণ এবং নেতিবাচক আচরণ দেখে আমি হতাশ।’

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রের বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত সরকার যখন বুঝতে পারে যে ২০১৯ সালের আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা করলে সেটা রাজনৈতিকভাবে তাদের ক্ষতিগ্রস্ত করবে; তখনই এই বৈঠক বাতিল করে তারা।

সোমবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে সদস্য দেশগুলোর মূল আলোচনা শুরু হবে। শনিবার সেখানে বক্তৃতা করার কথা দু’দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর।

জাতিসংঘে ভারতের রাষ্ট্রদূত সৈয়দ আকবরউদ্দিন বলেন, ‘কেউ (পাকিস্তান) যদি সারাক্ষণ খোঁচাটা মেরে যেতে চায়, তাহলে সেটা করুক তারা। কিন্তু তাদের এটাও মনে রাখতে হবে যে, এই ব্যাপারগুলো আগেও অনেক সামাল দিয়েছি। ভবিষ্যতেও তাদেরকে উপযুক্ত জবাব দিতে আমরা প্রস্তুত। ‘

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের আলোচনার আহ্বান এবং ভারতের ইতিবাচক সাড়া দেওয়ার পর অনেকেই মনে করেছিল যে, ২০১৫ সালে বন্ধ হওয়া পাক-ভারত আলোচনার দুয়ার আবার খুলবে। কিন্তু দু’পক্ষের বিপরীতমুখী অবস্থানের কারণে সে সম্ভাবনা এখন নতুন মোড় নিয়েছে।