আমরাও সমাবেশ করব, প্লিজ পাল্টাপাল্টি বলবেন না : কাদের

আগামী ১৮ নভেম্বর আওয়ামী লীগ রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নাগরিক সমাবেশ করবে। এই সমাবেশকে বিএনপির সঙ্গে পাল্টাপাল্টি হিসেবে না দেখতে সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

কাদের বলেন, ‘আপনারা বিএনপির সমাবেশের সাথে এটাকে পাল্টাপাল্টি সমাবেশ বানাবেন না। প্লিজ আমি আপনাদের কাছে মাফ চাচ্ছি। আমরা কোনো পাল্টাপাল্টি সমাবেশ করতে চাচ্ছি না। আমাদের সমাবেশ নিয়ে রাজনীতি করতে চাচ্ছি না।’

সোমবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। একাত্তরের ৭ মার্চে দেয়া বঙ্গবন্ধুর ভাষণ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়া উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে সাংবাদিকদের শীর্ষ দুই সংগঠন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিকদ ইউনিয়ন (ডিইউজে)

গতকাল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করে বিএনপি। কর্মদিবসের এই সমাবেশে নগরবাসীর দুর্ভোগ হয়েছে জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, জনদুর্ভোগ যাতে না হয় সেজন্য আমরা শনিবার সমাবেশ দিয়েছি।

বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমাদের দেশে তারাই নীতিকথা বলে যারা বেশি দুর্নীতিবাজ। এই দেশে যারা নষ্ট রাজনীতি সূচনা করেছে, যারা সাম্প্রদায়িকতা করার চেষ্টা করেছে, যারা জঙ্গিবাদে মদদ দিয়েছে তারা বলে রাজনীতির গুণগত মান পরিবর্তনের কথা। এটা ভূতের মুখে রামরাম তাই নয় কি?’

২০১৪ সালের কথা মনে করিয়ে দিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘যারা আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়েছে, যারা বাসে আগুন দিয়ে পুড়িয়েছে তারা বলেন রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তনের কথা।’

এক শ্রেণির সাংবাদিকের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কিছু সাংবাদিক আছে মফস্বলে তারা শুধু কার্ড গলায় ঝুলিয়ে, প্যাড নিয়ে চাঁদাবাজি করে। তারা থানার ওসি, ভূমি অফিস, টিএনও অফিসে বসে থাকে। অথচ তারা একলাইন শুদ্ধভাবে লিখতে জানে না। গ্রামের মানুষ সাংবাদিক নাম শুনলেই বলে উঠে সাংঘাতিক।’

নবম ওয়েজবোর্ড গঠনের আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘কী কষ্ট করে সাংবাদিকরা জীবিকা নির্বাহ করেন তা আমি জানি। কারণ আমি নিজে একজন সাংবাদিক ছিলাম। তথ্যমন্ত্রীকে বলব খুবই মনোযোগের সঙ্গে, চেতনার সঙ্গে, ভালোবাসার সঙ্গে দেখবেন বিষয়টি।’

তথ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো সংঘাতের পথ তৈরি করবেন না। সুন্দরভাবে মানবিক দিক বিবেচনা করে বিষয়টি সমাধান করবেন।’

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য বিষয়ক উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, দৈনিক সমকালের সম্পাদক গোলাম সারওয়ার, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব ওমর ফারুক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শাবান মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী প্রমুখ।