আমরা ডাকসু নির্বাচন করব ইনশাল্লাহ : ঢাবি উপাচার্য

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান। তিনি বলেছেন, ‘গণতন্ত্রের সূতিকাগার হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এটি হচ্ছে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান। আমরা এই গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান সচল রাখতে চাই। আমরা ডাকসু নির্বাচন করব ইনশাল্লাহ।’

বুধবার ঢাবির টিএসসিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে উপাচার্য এসব কথা বলেন।

‘গণমাধ্যম বনাম সামাজিক মাধ্যম’ শীর্ষক বার্ষিক সেমিনার ও দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঢাবি সাংবাদিক সমিতি (ডুজা)।

উপাচার্য বলেন, ‘২৭ বছর ধরে সব প্রশাসন ডাকসু নির্বাচনের আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু ডাকসু নির্বাচন না হওয়ার পেছনে কোনো সুনির্দিষ্ট যুক্তি ছিল বলে মনে করি। বাস্তবতা হলো, আমরা ডাকসু নির্বাচন চাই এবং গত ২৭ বছর ধরে ডাকসু নির্বাচন হয়নি। আমরা আপনাদের আশা পূর্ণ করব। প্রত্যাশা করি ডাকসু নির্বাচন হবে।’

আখতারুজ্জামান বলেন, ঢাবি গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছে। আর এর অন্যতম একটি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি। এটি গণতন্ত্রের সব কর্মকাণ্ড অনুসারণ করে পরিচালিত হয়।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। তিনি বলেন, ‘পরিবর্তনের জন্য তথ্যের কোনো বিকল্প নেই। আর এ পরিবর্তন হতে হবে জ্ঞান বৃদ্ধির পরিবর্তন। এর মাধ্যমে আমরা যেন সমাজকে পরিবর্তন করতে চাই, সেই লক্ষ্য রাখতে হবে।’

ঢাবিতে কর্মরত সাংবাদিকদের বিশ্বের শ্রেষ্ঠ সাংবাদিক বলে আখ্যায়িত করে ডুজার নির্বাচন কমিশনার বোরহানুল হক সম্রাট বলেন, ঢাবির সাংবাদিকরা সবার জন্য কাজ করে। আমি কোনো ছাত্রসংগঠনকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করতে দেখি না, যেটা ঢাবির সাংবাদিকরা করে।’

ডুজার প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক রেজওয়ানুর রহমান বলেন, ঢাবি সাংবাদিক সমিতি একটি ব্যতিক্রমধর্মী প্রতিষ্ঠান। ক্যাম্পাসে কর্মরত সব সাংবাদিক অন্যদের চেয়ে ব্যতিক্রম। তাদেরকে ভবিষ্যৎ টার্গেট নির্ধারণ করেও কাজ করতে হবে।

ঢাবি সাংবাদিক সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি আসিফুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান নয়ন। অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. রোবায়েত ফেরদৌস।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ডুজার নির্বাচন কমিশনার রিয়াদুল করিম, শরিফুজ্জামান পিন্টুসহ বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরা।