আমরা শুধু সাকিবকে থামানোর কথা ভাবছি : হাথুরুসিংহে

খবরটা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পক্ষ থেকে প্রকাশ করার সাথে সাথে দুই শিবিরই জেনে গেছে, নিদাহাস ট্রফির বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কার সর্বশেষ ম্যাচটি খেলতে সাকিব আসছেন! শুক্রবারের এই ম্যাচ নিয়ে এতদিন একধরণের পরিকল্পনা করছিলেন লঙ্কান কোচ চন্দিকা হাথুরুসিংহে। কিন্তু ম্যাচের ঠিক আগের দিন স্রেফ একজন ক্রিকেটারের জন্য তাকে পরিকল্পনায় আমূল বদল আনতে হচ্ছে! ভাবতে হচ্ছে সাকিবকে থামানো নিয়ে।

তিন বছর বাংলাদেশের কোচ থাকার সময় সাকিব সম্পর্কে পুরোপুরি ধারণা পেয়েছেন হাথুরুসিংহে। বাংলাদেশের প্রধান অস্ত্র যে যে কোনো ম্যাচের মোড় একাই ঘুরিয়ে দিতে পারেন, সেটা হাথুরুর চেয়ে ভালো কেউ জানে না। এমনিতেই শুক্রবারের ম্যাচটি হয়ে গেছে অঘোষিত সেমিফাইনাল। যে দল জিতবে, সেই দল ভারতের বিপক্ষে ১৮ মার্চ ফাইনাল খেলবে। এই সমীকরণে দাঁড়িয়ে ‘সাকিব ঠেকাও’ রব উঠেছে লঙ্কান শিবিরে।

চন্দিকা হাথুরুসিংহে নিজেই বললেন তাদের পরিকল্পনার পরিবর্তনের কথা, ‘আমরা জানি, ও খুব ভালো একজন খেলোয়াড়। সাকিব এলে ওদের সুবিধা হবে। সমন্বয়ে বদল আনতে পারে। চাইলে একজন ব্যাটসম্যান বেশি খেলাতে পারবে, চাইলে একজন বোলারও। আমরা শুধু সাকিবকে কীভাবে মোকাবিলা করতে পারি, সেটা নিয়ে ভাবছি। ভালো ফলের জন্য ওকে থামানো দরকার। কীভাবে ওর ৪ ওভার ভালোভাবে সামলানো যায়, ওর ব্যাটিংয়ের সময় কীভাবে বোলিং করতে পারি, সেটাই ভাবছি।’

সাকিব থাকা মানে একজন বিশ্বমানের ব্যাটসম্যান এবং একজন বিশ্বমানের বোলারকে দলে পাওয়া। বাংলাদেশ দল এমনই ভাগ্যবান যে, সাকিবের মত একজন বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডার দলে আছেন। হাথুরু সেটা ভালো করে জানলেও শিষ্যদের ওপর বাড়তি কোনো চাপ দিতে রাজী নন, ‘আমরা সবাই জানি, সে র‍্যাংকিংয়ের এক নম্বর অল-রাউন্ডার। ওরা ভাগ্যবান, সাকিব ঠিক সময়ে সেরে উঠেছে। যদি সাকিব অর্ধেক ফিটও হয়, তাহলে এটা তাকে খেলানো ভালো হবে না। তবে এটা বলতে পারি, দুই দলের মধ্যে এমন কিছু জানার আর বাকি নেই, যা ট্রাম্প কার্ড হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।’