‘আমাদের চেয়ে সংখ্যালঘুদের ভালো বন্ধু এ দেশে কেউ নেই’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কিছু ভুলত্রুটি থাকা সত্ত্বেও সংখ্যালঘুদের জন্য আওয়ামী লীগই সবচেয়ে ভালো বন্ধু। আমাদের চেয়ে সংখ্যালঘুদের ভালো বন্ধু এ দেশে কেউ নেই।

শুক্রবার ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (আইইবি) মিলনায়তনে পূজা উদযাপন পরিষদের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের ভুলত্রুটি আছে। কিন্তু আমাদের চেয়ে বেটার বন্ধু মাইনরিটিদের এ দেশে আর কেউ নেই। শেখ হাসিনার চেয়ে বড় বন্ধু, আপনজন এই দেশে কি আপনাদের আর কেউ আছে? ছোটখাটো কিছু বিষয়ে মান-অভিমান করে গুটিয়ে থাকলে আপনাদের, আমাদের শত্রুরাই উপকৃত হবে।

মাইনরিটি নিপীড়ন বিএনপির পলিসি বলে অভিযোগ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন এলে মাইনরিটিদের জন্য মায়াকান্না দেখায় তারা। ২০০১ থেকে ২০০৩ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন মাইনরিটিদের অনেক নির্যাতন-নিপীড়ন করেছে। এটি ছিল তাদের কেন্দ্রীয় সরকারের পলিসি।

তিনি বলেন, আমাদের (আওয়ামী লীগ) কোনো বিকল্প নেই। বিকল্প পাকিস্তানের দোসররা। আমাদের বিকল্প তাদের ভাবলে আপনাদের ভুল হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপনাদের যোগ্যতার অবমূল্যায়ন করেনি। যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি দেয়াসহ দলের বিভিন্ন কমিটিতে আপনাদের রেখেছেন।

খালেদা জিয়াকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে রাখতে সরকার কারাগার থেকে মুক্তি দিচ্ছে না -বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এ সরকারের আমলে বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন। আদালতে সরকারের হস্তক্ষেপ নেই বলেই উচ্চ আদালতও খালেদা জিয়াকে জামিন দিয়েছেন। বিএনপি নেতাদের জানতে হবে মামলা কয়টা, জামিন নিয়েছে কয়টা।

মামলা নিয়েও বিএনপি নেতারা মিথ্যাচার করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার এ মামলা আওয়ামী লীগ সরকারের নয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের। মামলা নিয়ে বিএনপি নেতাদের আদালতে যাওয়ারও পরামর্শ দেন তিনি।

কাদের বলেন, নেতিবাচক রাজনীতির কারণে বিএনপির ভোট কমে গেছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনে জয় লাভের আশা হারিয়ে ফেলেছে। তাই জাতীয় নির্বাচন থেকে সড়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে কিনা সেটি ভেবে দেখতে হবে। তাদের জনগণের ওপর ভরসা কম। কথায় কথায় তারা বিদেশিদের কাছে নালিশ করে।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি জয়ন্ত সেন দীপুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।