খুবই উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে : ঢাবি উপাচার্য

দুই-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া খুবই উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে দাবি করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক আখতারুজ্জামান। সোমবার (১১ মার্চ) ভোট গ্রহণ শেষে তিনি এ কথা বলেন। ভিসি বলেন, ‘দুই-একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া খুবই উৎসবমুখর পরিবেশে এবং গণতন্ত্রের মূল্যবোধের বিশ্বাসে ভোট হয়েছে।’খবর বাংলা ট্রিবিউনের।

ভোট গ্রহণ শেষে এর আগে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ জানাই। তারা সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে। তারা গণতন্ত্রের রীতিনীতি অনুসরণ করেই ভোট দিয়েছে। আমি অনেকগুলো কেন্দ্র পরিদর্শন করেছি। সেখানে দেখেছি শিক্ষার্থীরা লাইন দিয়ে ভোট দিয়েছে।’

বাংলাদেশ কুয়েত হলের অনিয়মের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা কালক্ষেপণ না করে, কোনও শৈথিল্য না দেখিয়ে প্রভোস্টকে সরিয়ে দিয়েছি। নতুন প্রভোস্ট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করে দিয়েছি। কমিটি মূলত খতিয়ে দেখবে, কারা কারা এর সঙ্গে জড়িত। এই নীতিবর্হিভূত কাজের সঙ্গে যারা জড়িত, যেটা কোনোভাবেই বরদাশত করা যায় না। এর বিরুদ্ধে আমরা কঠিন ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। যাতে ভবিষ্যতে কেউ নীতিবিরোধী এ ধরণের কাজ ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত না হয়। সেটা আমরা দেখবো। রিপোর্ট পাওয়ার পর আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ডাকসুর রীতিনীতি, গঠণতন্ত্র রয়েছে। তা মেনেই সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আমরা দেখলাম, আমাদের শিক্ষার্থীদের যে সুশৃঙ্খল এবং তাদের গণতন্ত্রের যে মূল্যবোধ রয়েছে তা দেখে আমি খুশি। তাদের এই মূল্যবোধ আমাদের অনুপ্রেরনা দেয়। সামনের দিনগুলোতে এই ধারা অব্যাহত থাকবে।’

ভিসি বলেন, ‘যে বা যারা অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠিন থেকে কঠিনতর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

এরআগে সকাল ৮টা থেকে ডাকসুর ভোট গ্রহণ শুরু হয়। তবে বিভিন্ন হলে সিল দেওয়া ব্যালট উদ্ধারের ঘটনা এবং ছাত্রলীগ ছাড়া অন্য প্রার্থীদের ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ বাধাদানের অভিযোগ এনে দুপুরে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন প্রার্থীরা। ছাত্রলীগ বাদে অন্য সব প্যানেলের প্রার্থীরাই ভোট থেকে সরে দাঁড়ান। এর মধ্যে সাধারণ শিক্ষার্থী পরিষদ, স্বাধিকার স্বতন্ত্র পরিষদ, প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্য, ছাত্র ফেডারেশনসহ বিভিন্ন পদের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নতুন ভোট গ্রহণের পাশাপাশি দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘটের ঘোষণা দেন।