আরব আমিরাতের সঙ্গে বাংলাদেশের ৪ সমঝোতা স্মারক সই

বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে এবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অগ্রগতি হলো আরো একধাপ। স্থানীয় সময় বিকেলে আবুধাবিতে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে নৌ-পরিবহন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি এবং বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল সংক্রান্ত চারটি সমঝোতা স্বাক্ষরিত হয় দু’দেশের মধ্যে।

এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরো দৃঢ় হওয়ার আশা করছে দু’দেশের নীতিনির্ধারকরা। এর আগে রোববার দুপুরে প্রধানমন্ত্রী সেখানে অংশ নেন- ১৪ তম আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা প্রদর্শনীতে।

টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে প্রথমবারের মতো তিনদিনের বিদেশ সফরে জার্মানির পর সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থান করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে সরকার প্রধানের উপস্থিতিতেই অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটির সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণ সংক্রান্ত চারটি সমঝোতা স্মারক সই করে বাংলাদেশ।

চারটি সমঝোতার মধ্যে রয়েছে, পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে বাংলাদেশে শিল্পপার্ক স্থাপন ও নৌবন্দর নির্মাণ। সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রায়ত্ত জ্বালানি কোম্পানি এমিরেটস ন্যাশনাল অয়েল কোম্পানি-ইনক ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদী এলএনজি সরবরাহ ও ল্যান্ডবেইজড এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ এবং কক্সবাজারের মাতারবাড়িতে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়।

এদিন বিকেলে দেশটির অর্থমন্ত্রী সুলতান আল মনসুর সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। আবুধাবির ১৫ সদস্যের ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে এ সময় বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল।

এর আগে রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় দুপুরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবির ন্যাশনাল এক্সিভিশন সেন্টার-এডনেকে ১৪তম আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা প্রদর্শনী উপলক্ষে উপস্থাপন করা হয় অত্যাধুনিক সব সমরাস্ত্রের মহড়া। এই আয়োজনে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রদর্শনীতে সামরিক মহড়ার মাধ্যমে তুলে ধরা হয়, অত্যাধুনিক সমরাস্ত্রের বহুমাত্রিক ব্যবহার। প্রতিরক্ষা কৌশলে নিজ দেশের সক্ষমতা ও পারদর্শিতার প্রশ্নে এগিয়ে থাকতে হাল আমলের এসব সাঁজোয়া সরঞ্জাম কার্যকর বলে জানানো হয় প্রদর্শনীতে।

সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বেশ কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয়োজনে আলোচনা সভায় যোগ দেয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।