আ’লীগ ক্ষমতায় থাকলে সংখ্যালঘুরা নিরাপদে থাকে : নাসিম

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার যত দিন ক্ষমতায় থাকে, তত দিন এ দেশে সংখ্যালঘুরা নিরাপদে থাকেন।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা যত দিন ক্ষমতায় থাকবেন তত দিন আপনারা (সংখ্যালঘু) নিরাপদে থাকবেন। কারণ যে কোনো সমস্যা নিয়ে আপনারা আমাদের সঙ্গে এসে কথা বলতে পারেন। আমরাও আপনাদের সব ধরনের সহযোগিতা করে থাকি।’

শুক্রবার ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরের মেলাঙ্গনে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি ডি এন চ্যাটার্জির সভাপতিত্বে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিম ও পংকজ দেবনাথ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা. দিলীপ রায়, মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শ্যামল কুমার রায় প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে মঙ্গল প্রদীপ জ্বালিয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ভারতীয় হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার ড. আদর্শ সাইকা।

আগামী নির্বাচনে আবারও আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, দেশের জনগণ ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোটের ভয়াবহতা দেখেছে। ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে নির্বাচনে জয়লাভের পর তারা কীভাবে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্মম অত্যচার ও নির্যাতন চালিয়েছে। দেশের মানুষ সেই ভয়াবহতা আর দেখতে চায় না। তাই আগামী নির্বাচনে দেশের মানুষ আবারও আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করবে।

তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির বিজয় ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। স্বাধীনতাবিরোধীরা যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে এদেশের সংখ্যালঘুরা নির্যাতনের শিকার হবে। বাংলাদেশ হবে জঙ্গিদের দেশ।

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা না থাকলে দেশের উন্নয়ন হয় না। বাংলাদেশে এখন রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আছে বলেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশে বিভিন্ন অবকাঠামো গড়ে উঠছে। সব ধর্মের মানুষ নিজ নিজ ধর্মীয় উৎসব আনন্দের সঙ্গে পালন করছে।

সংবিধান অনুযায়ী আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে তিনি বলেন, সংবিধানের বাইরে আমরা যাব না। আমেরিকা, ব্রিটেন, ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় এদেশে সেভাবে নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।