‘আল্লাহু আল্লাহু’ গানে মাতল ভারতীয় হাইকমিশন

‘আল্লাহু আল্লাহু’ গান গেয়ে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন মাতিয়েছেন শিল্পী সুফি বাওরা। শুরুটা করেন খোদাপ্রেমের বন্দনা দিয়ে। প্রায় ২৩ মিনিটের বেশি সময় ধরে ‘আল্লাহু আল্লাহু’ গানটি পরিবেশন করেন। শুরুতেই মাত করে দেন এই গানটি দিয়েই। এরপর একে একে করেন বহু জনপ্রিয় গান।

সুফিবাদের ওপর নির্ভর করে নিজ ঘরানায় গাইলেন সেই ‘দমাদম মাস্ত কালন্দর’ গানটি। তুমুল এই জনপ্রিয় গানটি আবার নতুন করে শুনলেন বাংলা দর্শক শ্রোতারা। মাঝে তিনি ওস্তাদ আমির খাসরুর কয়েক শের এর অংশ বিশেষ পরিবেশন করেন আমন্ত্রিত অতিথিদের সম্মানে।

গুলশানের ভারতীয় হাইকমিশন হাউসে সোয়া এক ঘণ্টাব্যাপী আয়োজনে খোদাপ্রেম ছাড়াও মানবপ্রেমের বিভিন্ন রস সুফি বাওরা তার দরাজ গলায় গান পরিবেশন করেন। তবে তিনি আক্ষেপ করে উপস্থিত অতিথিদের বললেন, এই অল্প সময়ের মধ্যে আপনাদের তুষ্ট করতে পারলাম না। একটি আন্তর্জাতিক উৎসবে গেয়েছি, গলা বসে গেছে। না হলে আরও অনেক গান শোনাতে পারতাম। গানে ফাঁকে বাংলাদেশের শ্রোতাদের কাছে সুফিবাদ গানের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন তিনি।

শেষ করেন সুফি ঘরানার গুরু বন্দনা দিয়ে। তার আগে মানবপ্রেমের সুখানুভূতি ও আকুলতা তুলে ধরেন পিয়া ম্যারা পিয়া গান দিয়ে।

শিল্পীকে যন্ত্রানুষঙ্গে সঙ্গত করেন দিলীপ কুমার, শ্রী সুভাস, সতীশ কুমার, অঙ্কুশ কুমার, গোপাল কৃষ্ণ ও গোবরাজ সিং।

চমৎকার সুফি সন্ধ্যা উপহার দেয়ার জন্য সুফি বাওরা ও তার দলকে সাধুবাদ জানিয়ে বক্তব্য রাখেন ভারতীয় হাইকমিশার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। তিনি বলেন, ‘শুধু ভারত কিংবা বাংলাদেশে নয়, উপমহাদেশের বিভিন্ন দেশে জনপ্রিয় সঙ্গীত এটা।’

অনুষ্ঠানে ডেপুটি হাইকমিশনার আদর্শ সোয়াইকা, ইন্ডিয়ান ইমপোটার্স চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাট্রিজের সভাপতি এ কে সাক্সেনা, মিডিয়া অ্যাটাশে রঞ্জন মণ্ডল, নিরাপত্তাবিষয়ক কর্মকর্তা জে এস নন্দা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন হাইকমিশনের দ্বিতীয় সেক্রেটারি বিশাল জ্যোতি দাশ।