আশ্বাসেই অনশন ভাঙলেন মাদ্রাসা শিক্ষকরা

কনকনে শীতে টানা ৮দিন আমরণ অনশেনর পর দাবি পূরণের চেষ্টার আশ্বাস পেয়ে অনশন ভাঙলেন শিক্ষকরা। মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর হোসেনের শিক্ষকদের অনশন স্থলে এসে শিক্ষকদের জুস খাইয়ে অনশন ভাঙান।

বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির মহাসচিব কাজী মখলেছুর রহমান বলেন, শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন- আমাদের দাবি মেনে নেবেন। তিনি আমাদের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন।

তিনি বলেন, শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন জাতীয়করণের বিষয় চূড়ান্ত করতে কিছু সময় লাগবে। আপনারা নিজ নিজ কর্মস্থলে ফিরে যান। তার কথায় আমরা কর্মসূচি স্থগিত করলাম। তবে আগামী প্রাক-বাজেটে যদি আমাদের দাবি মেনে নেয়া না হয় তাহলে আমরা আবার আন্দোলন করবো।

ঝিনাইদহের হরিশঙ্করপুর মিয়াপাড়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘১৬ দিন পর আশ্বাস পেয়ে আমরা অনেক খুশি। আশা করি, সরকার খুব তাড়াতাড়ি জাতীয়করণের ঘোষণা দেবে।’

উল্লেখ্য, মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত সকল স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার এমপিওভুক্তির দাবিতে গত ১ জানুয়ারি থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষকেরা। এরপর তারা ৮ জানুয়ারি থেকে আমরণ অনশন শুরু করেন। মঙ্গলবার পর্যন্ত ১৮৬ শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

আন্দোলনরত শিক্ষকরা জানান, একই পরিপত্রে ১৯৯৪ সালে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষকদের বেতন নির্ধারণ করা হয় ৫০০ টাকা। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী পঞ্চম শ্রেণির কার্যক্রম একই হলেও ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করে সরকার।

এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রতি মাসে ২২ থেকে ৩০ হাজার টাকা বেতন হলেও ১ হাজার ৫১৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষকরা সরকারের থেকে কোনো বেতন পান না।