আস্থা ভোটে টিকে গেলেন থেরেসা মে

আরও অন্তত এক বছর ব্রিটেনের কনজারভেটিভ দলের নেতৃত্বে থেরেসা মে-ই থাকছেন। দলের নেতৃত্বের প্রশ্নে আস্থা ভোটে টিকে গেছেন তিনি। গতকাল রাতে ভোটাভুটিতে তার পক্ষে পড়েছে ২০০ ভোট, আর বিপক্ষে ১১৭।

আস্থা ভোটে থেরেসা মে জিতেছেন ৮৩ ভোটে, যার অর্থ ৬৩ শতাংশ কনজারভেটিভ এমপি ছিল তার পক্ষে আর বিপক্ষে ভোট দিয়েছে ৩৭ শতাংশ।

তিনি হেরে গেলে দলের প্রধানের পদ থেকে তাকে সরে দাঁড়াতে হতো, সেইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকেও তাকে সরে যেতে হতো।

জয়ের পর থেরেসা মে বলেন, ‘এটা খুব দীর্ঘ এবং উত্তেজনাপূর্ণ দিন ছিল। তবে দিন শেষে আমি আমার সহকর্মীদের ধন্যবাদ দেবো ব্যালটের মাধ্যমে আমাকে সমর্থন জানানোর জন্যে, আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।’

বক্তব্যের এক পর্যায়ে নিজ দলের এই সমর্থন তাকে ব্রেক্সিট নীতি বাস্তবায়নে সহায়তা করবে বলে জানান থেরেসা মে।

এর আগে ডাউনিং স্ট্রিটে এক বক্তব্য ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, তিনি জনগণের দেয়া ভোটে নির্ধারিত ব্রেক্সিট রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

সংসদে আস্থা ভোটের ডাক দেয়ার জন্যে দরকার ছিল ৪৮ জন কনজারভেটিভ পার্টির সংসদ সদস্যের আবেদন।

ব্রেক্সিট ইস্যু নিয়ে নিজের দলের মধ্যে আনা অনাস্থার এমন ফলাফলকে খুব বেশি ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন না ব্রিটিশ সাংবাদিক মিহির বোস। তার মতে এতে প্রমাণিত যে অন্তত ১১৭ জন সদস্য দলের মধ্যে তাকে চান না। তিনি বলেন, ‘থেরেসা মে প্রধানমন্ত্রীত্ব হারালে এরপর যিনি আসবেন তিনি এরচেয়েও খারাপ হতে পারে এমন একটা ভয় ছিল তার দলের মধ্যে।’

অনাস্থা ভোটের আগে এক বক্তব্যে থেরেসা মে ইইউ থেকে বেরিয়ে আসার জন্যে তার ব্রেক্সিট চুক্তির জন্যে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। তবে তার বক্তব্যের একেবারে শেষে এসে বলেন যে, ২০২২ সালের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনে তিনি আর দলের হয়ে লড়বেন না। বিবিসি বাংলা।