‘আ.লীগকে পরাজিত করার মতো রাজনৈতিক শক্তি নেই’

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা বলেছেন, ‘ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগকে পরাজিত করার মতো কোনো রাজনৈতিক শক্তি নেই।’

নেতারা বলেন, ‘আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে কেউ আমাদের পরাজিত করতে পারবে না। সদ্য সমাপ্ত খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তা প্রমাণিত হয়েছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না।’ তাঁরা আরো বলেন, ‘বিএনপির চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য হলো নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর তারা বলে নির্বাচন ভালো হয়নি। আর বিজয়ী হলে বলে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তারা আরো বেশি ভোটে বিজয়ী হতো।’

নেতারা আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর ফার্মগেটের খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিমর্মভাবে নিহত হওয়ার পর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালের ১৭ মে দীর্ঘদিন ভারতে নির্বাসিত জীবন যাপন শেষে দেশে ফিরে আসেন।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট আবেদ খান, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামীগের লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ ও মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান প্রমুখ।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি পরাজিত হয়েছে। তাই তাদের খালি কলস। আমাদের ভরা কলস নড়বে না। কিন্তু খালি কলস বেশি নড়ে। খুলনার জনরায়ের প্রতি যারা অশ্রদ্ধা প্রদর্শন করে আগামী জাতীয় নির্বাচনে জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করবে।’

কাদের বলেন, ‘বিএনপির নেতাদের কাজ হলো প্রেস ব্রিফিংয়ের নামে মিথ্যাচার করা আর বিদেশিদের কাছে নালিশ করা। জনগণের কাছে তারা নালিশ করে না। কারণ জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘বিএনপি মিথ্যাচার করতে করতে গভীর খাদের মধ্যে পড়ে যাবে। আর সেখান থেকে তারা কখনো উঠতে পারবে না।’

আমির হোসেন আমু বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, তাঁর (প্রধানমন্ত্রী) মতো মনোবল ও দৃঢ়তা বর্তমান বিশ্বে আর কোন রাষ্ট্রনায়কের মধ্যে নেই। দেশে যা কিছু অর্জন তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্জিত হয়েছে।’

শিল্পমন্ত্রী আরো বলেন, ‘যারা দেশের উন্নয়ন ও অর্জনকে খাটো করতে চায় তাদের দেশদ্রোহী হিসেবে বিবেচনা করে বিচারের আওতায় আনা উচিত।’

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে কেউ আমাদের পরাজিত করতে পারবে না। আগামী জাতীয় নির্বাচনেও পারবে না।’ তিনি বলেন, ‘বিএনপির চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য হলো নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর বলে নির্বাচন ভালো হয়নি। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে তারা নানাভাবে মিথ্যাচার করে থাকে।’

অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ১৯৮১ সালের ১৭ মে বাংলাদেশও প্রত্যাবর্তন করেছিল। কারণ, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করে পাকিস্তানি ভাবধারার একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল।’

সাংবাদিক আবেদ খান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আছেন বলেই বাংলাদেশ আছে, মুক্তিযুদ্ধ আছে। দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে তাঁর কোনো বিকল্প নেই।’