আ.লীগের শীর্ষ নেতাদের নির্দেশেই মহাসচিবের ওপর হামলা : রিজভী

আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের নির্দেশেই মির্জা ফখরুল ইসলামের গাড়ি বহরে হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।

সোমবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।

রিজভী বলেন, এই ঘটনায় আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর পুনরুজ্জীবিত ও বহুব্যাপী সন্ত্রাসের আরেকটি বিপজ্জনক মাত্রা দৃশ্যমান হলো। গুণ্ডামির এই নবসংস্করণ জনসমর্থন ছাড়া দু:শাসন টিকিয়ে রাখারই ইঙ্গিত দেয়। এরা বিরোধী দলের সমাজসেবামূলক কর্মসূচিকেও বানচাল করতে হিংসাত্মক আক্রমণ চালায়।

সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, গণবিচ্ছিন্নতার কারণে এক অজানা ভয় থেকে আওয়ামী লীগের মনস্তাত্বিক আবহাওয়া বদলে গেছে। এখন সবকিছু হারিয়ে তারা শেষ ভরসা হিসেবে গুণ্ডা রাজত্ব কায়েম করতে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে। সে জন্যই তারা নিরপরাধ, নিরীহ ও নিরস্ত্র মানুষের ওপর চড়াও হচ্ছে এবং লুট আর দখলবাজী অব্যাহত রাখতে সাধারণ মানুষকে পিটিয়ে মারছে।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার দু:শাসনের প্রকোপ এখন বিপজ্জনক রূপ ধারণ করেছে। প্রকৃত গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবনের জন্য বিএনপিসহ বিরোধী দলসমূহ, বিশিষ্ট নাগরিক সমাজ, নাগরিক স্বাধীনতায় বিশ্বাসী ব্যক্তিবর্গ, মুক্তচিন্তার লেখক, বিবেকবান সাংবাদিক সবাই শেখ হাসিনার চরম রাজনৈতিক আক্রমণের শিকার।

নির্বাচন আসার আগেই গুণ্ডামি ও সন্ত্রাসকে যেভাবে প্রজনন করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, তাতে আগামী জাতীয় নির্বাচন শেখ হাসিনার অধীনে হলে অবাধ-সুষ্ঠু-শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের কী শোচনীয় বিপর্যয় ঘটবে তা সহজেই অনুমেয়। সেই নির্বাচন হবে একতরফা, সন্ত্রাসকবলিত। ভোটের দিন ও এর পূর্বাপর অবস্থা চরম অরাজকতায় ঢেকে থাকবে।

এ সময় বিএনপি মহাসচিবের ওপর হামলার ঘটনায় বিক্ষোভ থেকে গ্রেফতারকৃত বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান রিজভী।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।