আ.লীগ থেকে ঐক্যফ্রন্টে এসে সাইয়িদ-রেজা-রনির ভরাডুবি

চলতি বছরের ১৩ অক্টোবর ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গঠন করা হয় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। এর পরপরই ড. কামালের দল গণফোরামে যোগ দেন আওয়ামী লীগের সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এম এস কিবরিয়ার ছেলে রেজা কিবরিয়া। পরে আওয়ামী লীগের সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদও যোগ দেন এই দলে। তারা দুজনই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হয়েছিলেন। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি গোলাম মাওলা রনি বিএনপিতে যোগ দিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের টিকিটে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে লড়েন। তবে এই তিনজনের কেউই চমক দেখাতে পারেননি। ভোটের ফলাফলে তাদের সকলেরই ভরাডুবি হয়েছে।

সবচেয়ে বেশি ভরাডুবি হয়েছে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি গোলাম মাওলা রনির। পটুয়াখালী-৩ আসনে ধানের শীষ প্রতীকে রনি পেয়েছেন মাত্র ৬ হাজার ১৭৬ ভোট। এই আসনে জয়ী আওয়ামী লীগের এস এম শাহাজাদা তার চেয়ে প্রায় ৩৪ গুণ বেশি ভোট (২ লাখ ১৫ হাজার ৫৭৯) পেয়েছেন।

হবিগঞ্জ-১ আসনে রেজা কিবরিয়া ভোট পেয়েছেন ৮৫ হাজার ১৯৭টি। এই আসনে জয়ী আওয়ামী লীগ প্রার্থী পেয়েছেন ১ লাখ ৫৮ হাজার ১৮৮ ভোট।

পাবনা-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামসুল হক টুকু ২ লাখ ৮২ হাজার ৯৯২ হাজার ভোট পেয়েছেন। আওয়ামী লীগ থেকে ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেয়া প্রার্থী আবু সাইয়িদ পেয়েছেন ১৫ হাজার ৩৯১ ভোট যা টুকুর ১৮ ভাগের ১ ভাগ।

আওয়ামী লীগ এই ফলাফলকে তাদের পক্ষে গণজোয়ার বললেও একে ‘প্রহসন’ বলছে ঐক্যফ্রন্ট।

নির্বাচনের এই ফলাফল দেখে ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই নির্বাচনকে ‘নিষ্ঠুর প্রহসন ও জাতির জন্য বড় ক্ষতি’ বলে উল্লেখ করেছেন।