আ.লীগ থেকে বহিষ্কার সুবর্ণচরের সেই রুহুল আমিন

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে স্বামী-সন্তানকে বেঁধে রেখে গৃহবধূকে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিন মেম্বারকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

শুক্রবার রাত ৮টায় উপজেলা আওয়ামী লীগের জরুরি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানান উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ওমর ফারুক। তিনি বলেন, ‘আজ থেকে দলের সকল কার্যক্রম থেকে রুহুল আমিন মেম্বারকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, সুবর্ণচর উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক হানিফ চৌধুরী, সহ-সভাপতি ছানা উল্যা বি.কম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আবুল বাসার প্রমুখ।

রবিবার একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের পর রাত ১২টার দিকে ঘরে ঢুকে ওই গৃহবধূকে দল বেঁধে ধর্ষণ করা হয়। এ সময় তার স্বামীকে মারধর ও চার সন্তানকে বেঁধে রেখে নির্যাতন চালানো হয়। চরজুবলী ইউনিয়নের মধ্য বাগ্যা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

পরে ভুক্তভোগী নারীর স্বামী নয় জনকে আসামি করে মামলা করেন। এ মামলায় মোট সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ঘটনাটি প্রকাশ হলে ভুক্তভোগীর স্বামী জানান, ধানের শীষে ভোট দেওয়াকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটেছে। তবে তিনি পরে করা মামলায় বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে তার স্ত্রীকে ধর্ষণ করা হয়।

ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর নিন্দার ঝড় ওঠে। নোয়াখালীর পুলিশ সুপার ইলিয়াস শরীফ বলেছেন, তারা সব আসামিকে গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করবেন। তার দাবি, ঘটনাটি রাজনৈতিক নয়।

এদিকে বৃহস্পতিবার নির্যাতিতার শরীর থেকে ধর্ষণের আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। তা চূড়ান্ত রিপোর্ট করে আদালতে উপস্থাপন করা হবে। বুধবার মানবাধিকার কমিশনের একটি দল নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করেছেন।

মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক জানিয়েছেন, এই ঘটনাটির তদন্ত করবেন তারা। এরই মধ্যে মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র, মহিলা পরিষদসহ বিভিন্ন সংস্থা ঘটনাটির দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানিয়েছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও বলেছেন এ ঘটনায় দোষী প্রমাণিতদের ছাড় দেয়া হবে না।