আ.লীগ ৩০ আসনের বেশি পাবে না : ফখরুল

অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ৩০টির বেশি আসন পাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে শুক্রবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের যে মন্তব্য করেছে সে বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ফখরুল বলেন, ‘আমি ওবায়দুল কাদেরের কথার উত্তর দিতে চাই না, কারণ তিনি অবান্তর কথা বলেন।’

সুষ্ঠু নির্বাচন চেয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ৩০টির বেশি আসন পাবে না।’

নির্বাচন হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ‘আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার সম্ভব হবে কিনা তা নির্ভর করবে নিরপেক্ষ নির্বাচনের ওপর। আমরা বিগত ৭ বছর সংবিধান সংশোধনসহ নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছি। আমরা আলোচনা করেছি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও, কিন্তু কিছুই করা হয়নি। সরকার কোনো কর্ণপাত না করে একতরফা নির্বাচন করতে এবং তাদের নীলনকশা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করছে। আমরা বারবার অভিযোগ করার পরও আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করেই চলেছে। এ ছাড়া কোনো ধরনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হয়নি। এভাবে নির্বাচনের মাঠে খারাপ পরিবেশ তৈরি হলে উদ্ভুত পরিস্থিতির দায় সরকারকেই নিতে হবে।’

ফখরুল বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার পর নারায়ণগঞ্জে ২৫ জন, ঢাকা মহানগরে ৩৯৪, মানিকগঞ্জ ও বগুড়ায় ৫৩৭ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ অবস্থায় কতটুকু নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব? নির্বাচন কমিশনকে এখনও বলছি, এসব বন্ধ করতে হবে তা না হলে নির্বাচনের পরিবেশ কী হবে তা আমরা বলতে পারছি না।’

তিনি বলেন, ‘বিচার বিভাগকে তারা পুরোপুরি করায়ত্ত করে ফেলেছে। এ সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। পুরো জাতিকে তারা সংঘাতময় পরিস্থিতিতে ফেলে দিয়েছে। তাই কোনো ধরনের সংঘাত হলে তার দায় সরকারকেই নিতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন অভিযোগ করে ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচনে তারা ভয় পায় বলেই নীলনকশা বাস্তবায়নে কাজ করছে।’

দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের বিষয়ে আগামী দু-একদিনের মধ্যে কেন্দ্রীয়ভাবে নির্বাচন কমিশনকে জানানো হবে বলেও জানান বিএনপি মহাসচিব।

সংবাদ সম্মেলনে স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। তারা তাদের সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগ করছে না।’

জামায়াত এবং হেফাজত ইসলামীর সম্ভাব্য সহিংসতা নিয়ে মার্কিন কংগ্রেসে যে আলোচনা হয়েছে সে বিষয়টি বিএনপি কীভাবে দেখছে জানতে চাইলে এর জবাব দেন স্থায়ী কমিটির অপর সদস্য আব্দুল মঈন খান।

তিনি বলেন, ‘মার্কিনরা কী দেখে না তাদের রাষ্ট্রদূতের গাড়িতে কারা কীভাবে হামালা করলো?’

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।