ইংল্যান্ডের হারে সেমিতে অস্ট্রেলিয়া, আশা বেড়েছে বাংলাদেশের

পয়েন্ট টেবিলের চারে আছে ইংল্যান্ড। পাঁচে বাংলাদেশ। অর্থাৎ শেষ চারে ঢুকতে হলে ইংলিশদের নামাতে হবে। সেটা সরাসরি সম্ভব নয় বাংলাদেশের পক্ষে।

তাদের সামনে সমীকরণ— নিজেদের পরবর্তী দুইটি ম্যাচ জেতা এবং ইংল্যান্ডকে তাদের বাকি ম্যাচ থেকে অন্তত দুইটিতে হারতে হবে। এমন সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে লর্ডস থেকে সুখবরই পেল বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৬৪ রানে হেরেছে ইংল্যান্ড।

বিশ্বকাপটা জমিয়ে দিয়েছে মূলত শ্রীলঙ্কা, ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দিয়ে। যার ফলে শীর্ষ চারে ইংলিশদের অবস্থানটা নড়বড়ে হয়ে গেল। শ্রীলঙ্কার পর ইংলিশদের প্রতিপক্ষ ছিল অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও ভারত। গত ২৭ বছরে বিশ্বকাপে এই তিন দলের বিপক্ষে জিততে পারেনি ইংল্যান্ড।

লর্ডসে আজ সেই ইতিহাসেরই পুনরাবৃত্তি ঘটল। জিতে গেল অস্ট্রেলিয়া। ইংলিশদের বাকি দুই প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড ও ভারত। ওই দুই ম্যাচেও যদি ইতিহাস একই স্বরে কথা বলে ওঠে তবে সেমি দরজা অনেকটাই খুলে যাবে বাংলাদেশের জন্য।

কারণ ইংলিশরা যদি তাদের সামনের দুই ম্যাচের একটিতেও হারে তবে তাদের পয়েন্ট হবে ১০। অন্যদিকে বাংলাদেশের বর্তমান পয়েন্ট ৭। ভারত ও পাকিস্তানের সাথে জিততে পারলে পয়েন্ট গিয়ে দাঁড়াবে ১১। সমীকরণটা কঠিন, কিন্তু অসম্ভব নয়। অবশ্য ইংল্যান্ড বাকি দুই ম্যাচ জিতে গেলে এই হিসাব আর কোন কাজে আসবে না।

এদিন টস জিতে অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে তাদের মোটামুটি আয়ত্তের মধ্যেই বাঁধতে পেরেছে ইংল্যান্ড। নির্ধারিত ৫০ ওভার ব্যাট করে ৭ উইকেটে ২৮৫ রান করে অস্ট্রেলিয়া।

এই লক্ষ্য ইংলিশদের জন্য ডালভাতই ছিল। কিন্তু জেসন বেহরেনডর্ফ-মিচেল স্টার্করা তাতে বাধা হয়ে দাঁড়ান। ইংলিশদের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন আপকে গুঁড়িয়ে দেন তারা। ফলে ৪৪.৪ ওভারে ২২১ রান করতেই অল আউট ইংল্যান্ড।

এদিন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে বেহরেনডর্ফ একাই নেন ৫ উইকেট। প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই স্টাম্প উড়িয়ে দেন ইংলিশ ওপেনার জেমস ভিন্সের। এরপর একে একে তুলে নেন জনি বেয়ারস্টো, ক্রিস ওকস, মঈন আলী ও জোফরা আর্চারের উইকেট।

অন্যপ্রান্তে স্টার্ক তুলে নেন জো রুট, ইয়ন মরগান, বেন স্টোকস ও আদিল রশিদকে। জস বাটলার আউট হন মার্কাস স্টয়নিসের বলে।

ইংলিশদের হয়ে এদিন একাই লড়েছেন স্টোকস। ২৮ বছর বয়সী এই অল রাউন্ডার ২টি ছক্কা ও ৮টি চারে সাজিয়ে ১১৫ বলে ৮৯ রানের এক লড়াকু ইনিংস খেলেছেন। এছাড়া আর কোন ব্যাটসম্যানই শক্ত প্রতিরোধ গড়তে পারেননি। বেয়ারস্টো ২৭, বাটলার ২৬, ওকস ২৬ ও আদিল রশিদ ২৫ রান করেন।