ইউরোপের সঙ্গেও কি বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু করলেন ট্রাম্প?

স্থগিতাদেশের সময় অতিক্রম হওয়ায় শুক্রবার থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কানাডা ও মেক্সিকো থেকে ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর আমদানি শুল্ক কার্যকর হলো যুক্তরাষ্ট্রে। ইস্পাতের ওপর ২৫ শতাংশ ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর এই শুল্কের পরিমাণ ১০ শতাংশ।

বন্ধুর কাছ থেকে এমন আচরণ পেয়ে ক্ষুব্ধ এখন ইউরোপ। এর আগে, শুল্ক প্রত্যাহার নিয়ে আলোচনায় বসা সত্ত্বেও আটলান্টিকের দুই পারের মধ্যে এ বিষয়ে সমঝোতা হয়নি।

বাণিজ্যিক দ্বন্দ্ব
জার্মানির অর্থমন্ত্রী ওলাফ শলৎস ওয়াশিংটনের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বলেন, ‘এটি একটি একপাক্ষিক ভুল সিদ্ধান্ত এবং আমি মনে করি একটি আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থি।’

ফ্রান্সের অর্থমন্ত্রী ব্রুনো ল্য মের- এর ফল ভালো হবে না বলে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ‘এটা যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষকেই ঠিক করতে হবে যে তারা তাদের সবচেয়ে বড় ব্যবসায়িক অংশীদার ইউরোপের সঙ্গে বানিজ্যিক দ্বন্দ্বে যাবে কিনা।’

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন যে, এই সিদ্ধান্ত অন্যদের ‘প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য করবে’৷

ট্রাম্পের ‘সবচেয়ে প্রিয়’ ইউরোপীয় বন্ধু ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইম্মানুয়েল মাক্রোঁ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পূর্বাবস্থার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘অর্থনৈতিক জাতীয়তাবাদ যুদ্ধ ডেকে আনে। ১৯৩০-এর দশকে এমনটিই ঘটেছিল।’

শেষ মুহূর্তেও অপেক্ষা
ইইউ কর্মকর্তারা শেষ মুহূর্তেও কোনো সুরাহার অপেক্ষা করেছেন। তাঁরা আশা করেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র অন্তত ইউরোপকে এই শুল্কের বাইরে রাখবে। কিন্তু সব আশায় পানি ঢেলে দিলেন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রী, যখন তিনি বললেন যে, ইইউ, কানাডা ও মেক্সিকোকে আর কোনো ছাড় দেয়া হবে না।

এখন প্রশ্ন হলো ইইউ কী করবে?
ব্রাসেলস এরই মধ্যে বিখ্যাত ব্র্যান্ড হার্লি ডেভিডসন ও বুর্বন হুইস্কির ওপর শুল্ক আরোপের বিষয়ে চিন্তা শুরু করেছে। তবে ইউরোপীয়ান কমিশন এ বিষয়ে কী চিন্তা করছে তা জানা যায়নি।

তবে ইইউ, কানাডা ও মেক্সিকো বিষয়টি নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা ডাব্লিউটিও-র দ্বারস্থ হবে বলেই মনে হচ্ছে।