ইজতেমার মাঠ প্রশাসনের দখলে থাকবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

আগামী এক মাস টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা মাঠ প্রশাসনের দখলে থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

শনিবার বিকালে সচিবালয়ে বিবদমান তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষ নিয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, দু’পক্ষের সংঘাতের কারণে আগামী এক মাস টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা মাঠ প্রশাসনের দখলে থাকবে। এই এক মাসের মধ্যে তাবলিগ জামাতের দুপক্ষ সেখানে কোনো ধরনের কর্মকাণ্ড করতে পারবে না।

এ ছাড়া আজকের সংঘর্ষের ঘটনায় ফৌজদারি মামলা হবে। তদন্তসাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

এর আগে সকালে তাবলিগ জামাতের দুপক্ষের সংঘাতের পর তাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দিল্লি মারকাজের মাওলানা মোহাম্মদ সাদ কান্ধলভীপন্থী বাংলাদেশে তাবলিগের শুরা সদস্য সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম এবং কওমিপন্থী মাওলানা যোবায়েরের পক্ষ থেকে তাবলিগের উপদেষ্টা মাওলানা আশরাফ আলী ও আবদুল কুদ্দুসসহ অন্যান্য নেতারা।

এ ছাড়া পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়াসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, দুপক্ষের বিবাদের কারণে পূর্বঘোষিত জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ব ইজতেমা পেছানোর সিদ্ধান্ত হয়। এর মধ্যেই শনিবার সকালে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে ৫ দিনের জোড় ইজতেমা অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে মাওলানা সা’দ আহমাদ কান্ধলভী ও মাওলানা যোবায়ের আহমেদপন্থীরা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

মুসল্লিরা জানান, গত ৩০ নভেম্বর শুক্রবার থেকে ৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার পর্যন্ত মাওলানা সা’দপন্থী মুসল্লিরা ৫ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমার ঘোষণা দিলে মাওলানা যোবায়েরপন্থীরা এর বিরোধিতা করেন এবং জোড় ইজতেমা প্রতিহতের ঘোষণা দেন। এর আগেই মাওলানা যোবায়ের আহমেদপন্থীরা ময়দানের অবস্থান নেন।

শনিবার সকালে মাওলানা সা’দপন্থীরা ইজতেমা ময়দানে গেলে ময়দানের প্রতিটি গেটে তালাবদ্ধ দেখতে পেয়ে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। একপর্যায়ে সা’দপন্থীরা ময়দানের গেট ভেঙে ঢোকার চেষ্টা করলে উভয়পক্ষের মুসল্লিদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। একপর্যায়ে তারা গেট ভেঙে ময়দানে প্রবেশ করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।

সংঘর্ষে মাওলানা সা’দপন্থী মুন্সিগঞ্জের মিলকীপাড়া গ্রামের ইসমাইল মণ্ডল (৭০) নামে এক মুসল্লির মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। দফায় দফায় এ সংঘর্ষে ৫ শতাধিক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।