রোহিঙ্গাবাহী ট্রলারডুবি, ১৪ লাশ উদ্ধার

কক্সবাজারের উখিয়ার উপকূলীয় এলাকা ইনানীর পাটুয়ার টেকের মোহনায় অনুপ্রবেশকারী শতাধিক রোহিঙ্গা বোঝাই একটি ট্রলারডুবির ঘটনায় মাঝিমাল্লাসহ অনেক নিখোঁজ রয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে এ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ, কোস্টগার্ড ও উপজেলা প্রশাসন তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে নয় শিশু, পাঁচ নারীসহ ১৪ জনের লাশ উদ্ধার করেছে। মুমূর্ষ অবস্থায় আট রোহিঙ্গাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে এবং ১০ জনকে উখিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। উদ্ধারকারী সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইতোপূর্বে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গারা বিভিন্ন সময়ে ট্রলার, ফিশিং বোটসহ ইঞ্জিনচালিত নৌকায় মিয়ানমার থেকে ইনানী উপকূল হয়ে উখিয়ার কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে। অনুরূপ বৃহস্পতিবার চার মাঝিমাল্লাসহ শতাধিক রোহিঙ্গা বোঝাই একটি ফিশিং ট্রলার মিয়ানমারের বুচিডং থেকে রওনা হয়ে সাগর পথে ইনানীর কাছাকাছি পাটুয়ার টেক এলাকার বিচে উঠার চেষ্টা করে। এসময় প্রচণ্ড ঢেউয়ের তুড়ে ট্রলারটি ডুবে যায়। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী গ্রামবাসীর খবরের ভিত্তিতে উপজেলা প্রশাসন, ইনানী পুলিশ ফাঁড়ি, কোস্টগার্ড স্থানীয় গ্রামবাসীর সহায়তায় পাঁচ জন নারী ও নয়জন শিশুসহ ১৪ জনের লাশ উদ্ধার করেছে।

মুমূর্ষ অবস্থায় ১৮ জন রোহিঙ্গাকে কক্সবাজার ও উখিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া বুচিডং এলাকার লালু মিয়া জানান, তাদের ভাড়া করা ফিশিং বোটে মাঝিমাল্লাসহ শতাধিক নারী পুরুষ শিশু ছিল। বোটটি পাটুয়ার টেক উপকূলে উঠার সময় উত্তাল ঢেউয়ের তোড়ে ডুবে যায়।

ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ স্টালিং বড়ুয়া সাংবাদিকদের জানান, উদ্ধার করা শিশুদের বয়স তিন থেকে ছয় বছর পর্যন্ত। তারা পাটুয়ার টেক বিচ এলাকায় উঠার সময় ট্রলারটি ডুবে যায়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাঈন উদ্দিন জানান, ট্রলারডুবির ঘটনায় মৃত ও জীবিত উদ্ধার করা সবাই রোহিঙ্গা নাগরিক। উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) কায়কিসলু জানান, উদ্ধার অভিযান এখনো পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে। উদ্ধার করা ১৪ জনের লাশ ময়না তদন্তের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।