ইবি শিক্ষক-ছাত্রীর অন্তরঙ্গ ছবি ফাঁসের অভিযোগ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের সাথে এক ছাত্রীর অন্তরঙ্গ ছবি ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের এক শিক্ষক এবং ছাত্রীর মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। ওই শিক্ষক ছাত্রীকে বিয়ে না করায় এবং সম্প্রতি ওই ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারীর কাছে মুঠোফোনে অভিযোগ করার পর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত শিক্ষক।

বিভাগ ও ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩৮তম সিন্ডিকেটে পরিসংখ্যান বিভাগের প্রভাষক পদে নিয়োগ পান আব্দুল মুয়ীদ। যোগদানের পরে একই বিভাগের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী সুমাইয়া রহমান পিংকির সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। অভিযোগ রয়েছে, এক পর্যায়ে তা গড়ায় শারীরিক সম্পর্ক পর্যন্ত। একাধিকবার পিংকি প্রজেক্টের কথা বলে আব্দুল মুয়ীদের কুষ্টিয়া হাউজিংয়ের ভাড়া বাড়িতে একান্তে দেখা করতে যান। ওই শিক্ষকের ভাড়া বাড়িতে পিংকির আসা যাওয়ার বিষয়টি স্থানীয়রা নিশ্চিত করেছেন। সেখানেই তাদের শারীরিক সম্পর্ক হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ সময়ে তাদের কিছু অন্তরঙ্গ ছবি এই প্রতিবেদকের হাতে এসে পৌঁছেছে। যদিও তেমন কোনো ছবি নেই বলে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শিক্ষক আব্দুল মুয়ীদ।

সূত্র জানায়, সম্প্রতি ওই শিক্ষকের পারিবারিকবাবে বিয়ের কথা চূড়ান্ত হয়। তারপর বিভিন্ন মাধ্যমে বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করেন পিংকি। এ সময় তাদের অনৈকিত সম্পর্কের কথা জনসম্মুখে আসে। তবে গত শুক্রবার ওই শিক্ষকের বিয়ে হওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে হইচই শুরু হয়। বিষয়টি মীমাংসার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের এক ছাত্র ও কুষ্টিয়ার আঞ্চলিক এক সাংবাদিকের মাধ্যমে এক লাখ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠে পিংকির বিরুদ্ধে।

এদিকে, সুমাইয়া রহমান পিংকির বিরুদ্ধে প্রবাসী বাংলাদেশি এক ব্যক্তির সাথে নগ্ন ভিডিও চ্যাটের স্থির চিত্র এই প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে। তার কাছ থেকে পিংকি কয়েক দফায় টাকা আদায় করেছে বলে অভিযোগ করেছেন ওই প্রবাসী।

সার্বিক বিষয়ে পিংকির সাথে যোগযোগ করতে তার ব্যক্তিগত মুঠোফোনে কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষক আব্দুল মুয়ীদ বলেন, “এ রকম কোন ছবি আমার নেই। আর বিষয়টি আমি জানি না। সাংবাদিককে টাকা দেওয়ার বিষয়টিও তিনি অস্বীকার করেছেন।”

পরিসংখ্যান বিভাগের সভাপতি আলতাফ হোসেন রাসেল বলেন, “আমি বিষয়টি জানি না। আর এ বিষয়ে কোন অভিযোগ আসেনি।”

এদিকে, গত বুধবার বিষয়টি উপাচার্যকে মুঠোফোনে অভিযোগ আকারে জানায় ওই ছাত্রী। বিষয়টি স্বীকার করে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন, ‘ফোনে একটি মেয়ে অভিযোগ করেছিল। আমি তাকে স্বশরীরে এসে লিখিত অভিযোগ করতে বলেছি। কিন্তু সে কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।”