ইমরানের তৃতীয় স্ত্রী কে এই রহস্যময়ী নারী?

অবশেষে তিন নম্বর বিয়েটা সেরেই ফেললেন ইমরান খান। ঠিক তখন সবাই চমকে গেল! পাশাপাশি রহস্যের আঁধার আরও ঘনীভূত হলো, যখন জানা গেল বশরা বিবি, ইমরানের এই তৃতীয় পক্ষ পেশায় আধ্যাত্মিক উপদেষ্টা। তামাম পাকিস্তান যাকে পিঙ্কি পীর নামে এক ডাকে চেনে!

কে এই বশরা বিবি ওরফে পিঙ্কি পীর? বছর চল্লিশের এই নারী পীরে রূপান্তরিত হলেনই বা কীভাবে?

জানা গেছে, বশরার পূর্ব নাম বশরা মানেকা। তিনি পাকিস্তানের বতু গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত। তা হলে তার নাম বশরা বতু না হয়ে মানেকা কেন?

সেই রহস্য লুকিয়ে রয়েছে বশরার পূর্ব বিবাহের ইতিবৃত্তে। বতু গোষ্ঠীরই এক শাখাগোষ্ঠী হল মানেকা। এই মানেকা বংশোদ্ভূত, পেশায় কাস্টমস অফিসার, খবর ফরিদ মানেকার সাথে প্রথম বার বিয়ে হয়েছিল বশরার। সেই প্রথম বিয়ের সূত্রে পাঁচটি সন্তানও প্রসব করেছিলেন তিনি।

তবে এসব বাদ দিয়েও বশরার রয়েছে এক আশ্চর্য গুণ- তিনি ভবিষ্যৎ বলে দেওয়ার ক্ষমতা ধরেন। এই প্রতিভাকে অন্দরমহলের ঘেরাটোপে আটকে রাখেননি বশরা। বরং, ব্যবহার করেছেন, পেশায় পরিণত করেছেন তাকে। সেই পেশার সূত্রেই তার ছদ্মনাম পিঙ্কি পীর। নাম ছদ্ম হলেও প্রতিভা যে নয়- তারই প্রমাণ হাতে-নাতে পেয়ে চমকে গিয়েছিলেন ইমরান খান।

জানা গেছে, ইমরান যখন তেহরিক-ই-ইনসাফ দল গঠন করে রাজনীতির খাতায় নিজের নাম তুলতে ব্যস্ত, সে সময় ভবিষ্যতে দলে কী কী হবে, কোন দিকে বাঁক নেবে ইমরানের রাজনৈতিক জীবন- তা গুণে-গেঁথে বলে দিয়েছিলেন পিঙ্কি পীর। ইমরান চমকে যান, যখন দেখেন প্রত্যেকটি কথাই অক্ষরে অক্ষরে মিলে গেছে।

এরপরে গল্পের যেটুকু পড়ে থাকে, তা বেশ দ্রুত গতির। নিয়মিত ভাবে ভবিষ্যৎ জানার জন্য এবং জীবনপথের সঠিক হদিশের খোঁজে পীরের দ্বারস্থ হতে থাকেন ইমরান। যা ক্রমশ রূপান্তরিত হয় গভীর প্রেমে। এর পর আর দ্বিধা করেননি বশরা। স্বামীকে সব কথা জানিয়ে, তালাক নিয়ে অবশেষে ঘর বাঁধলেন মনের মানুষটির সাথে।

তা, সম্পর্ক যে ক্রমশ বিয়ের দিকে এগুচ্ছে, সেটা কি জানতে পেরেছিলেন বশরা? তার আধ্যাত্মিক জীবন কি এই নিয়ে কিছু ইঙ্গিত দিয়েছিল আগে ভাগে? বশরা বা ইমরান- কেউই এর কোনো উত্তর দিচ্ছেন না।