ইরানের পরমাণু চুক্তি বাস্তবায়নের পক্ষে ৩ দেশ

ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে দেশটির সঙ্গে বিশ্বের শক্তিধর ছয়টি রাষ্ট্রের যে চুক্তি হয়েছে তা বাস্তবায়নের পক্ষে মত দিয়েছে ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পরমাণু চুক্তি সমর্থন করবেন না বলে ঘোষণা দেওয়ার পরই এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ কথা জানায় ইউরোপীয় ওই তিনটি দেশ।

শুক্রবার ফ্রান্স, ব্রিটেন ও জার্মানি এক যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করে ইরানের পরমাণু সমঝোতার প্রতি নিজেদের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকার কথা উল্লেখ করে বলেছে, সব পক্ষকে এটি বাস্তবায়ন করতে হবে। এই সমঝোতা তাদের প্রত্যেকের জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।

এর আগে শুক্রবার হোয়াইট হাউজে এক ভাষণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, তিনি ইরানকে পরমাণু সমঝোতার ‘চেতনা’লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্ত করে দাবি করেন। আমেরিকার ইতিহাসে এটি সবচেয়ে খারাপ চুক্তি এবং তিনি যখনই প্রয়োজন মনে করবেন তখনই এটি বাতিল করে দেবেন। ট্রাম্প ইরানের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপেরও হুমকি দিয়েছেন।

ইরানি গণমাধ্যম পার্স টুডের খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবার রাতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্যের পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে, জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ এক যৌথ বিবৃতিতে ইরানের পরমাণু সমঝোতার প্রতি নিজেদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, ১৩ বছরের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পর বিশ্বে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার গ্যারান্টি হিসেবে পরমাণু সমঝোতা সই হয়েছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান কর্মকর্তা ফেডেরিকা মোগেরিনিও মার্কিন প্রেসিডেন্টের ইরানবিদ্বেষী বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, এটি কোনো দ্বিপক্ষীয় সমঝোতা বা একক কোনো দেশের সম্পত্তি নয় যে, কোনো একটি পক্ষ এটির সমাপ্তি ঘোষণা করতে পারে। তিনি আরো বলেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ২২৩১ নম্বর প্রস্তাবের মাধ্যমে এই নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে যে, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে।

মোগেরিনি আরো বলেন, আন্তর্জাতিক সমাজের পাশে থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই সমঝোতা বাস্তবায়ন করে ইরানসহ সব পক্ষের স্বার্থ রক্ষা করবে।