ইরানের শীর্ষ ধর্মীয় নেতা খামেনির ওপর নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের

ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিসহ রেভ্যুলিউশনারি গার্ডের আট সিনিয়র কমান্ডারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল এ সংক্রান্ত একটি নির্বাহী আদেশে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প স্বাক্ষর করেছেন বলে বাণিজ্যমন্ত্রী স্টিভ মনুচিন জানিয়েছেন। তেহরান নিষেধাজ্ঞার অজুহাতকে বানানো বলে আখ্যায়িত করেছে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং সৌদি আরব যৌথ বিবৃতিতে চলমান সমস্যার সমাধান কূটনৈতিকভাবে করার আহবান জানিয়েছে। খবর বিবিসি ও রয়টার্সের

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিষেধাজ্ঞার কারণ সম্পর্কে বলেন, গত সপ্তাহে মার্কিন সামরিক ড্রোন ভূপাতিত করা এবং বিভিন্ন আক্রমণের কারণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি শত্রুতা সৃষ্টির জন্য দায়ী বলে মনে করে যুক্তরাষ্ট্র।

বাণিজ্যমন্ত্রী মনুচিন জানিয়েছেন, নতুন নিষেধাজ্ঞায় ইরানের সম্পদও জব্দ করা হবে। আটজন সিনিয়র কমান্ডার আছেন যারা ইরানের সুসজ্জিত ও প্রভাবশালী বাহিনী রেভ্যুলিউশনারি গার্ডের (আইআরজিসি) দেখভালের দায়িত্বে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকেও শিগগিরই কালো তালিকাভুক্ত করা হবে বলে মনুচিন জানিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, খামেনির প্রচুর সম্পদ রয়েছে যা আইআরজিসি’র সহায়তায় ব্যবহার করা হচ্ছে। গত বছর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেও জানিয়েছিলেন, খামেনির ৯৫ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ আছে।

তেহরানের কট্টরপন্থী মিডিয়া বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন এই নিষেধাজ্ঞার অজুহাত বানানো। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র বলছে, আন্তর্জাতিক সীমানার মধ্যে থাকা মার্কিন ড্রোনকে ভূপাতিত করেছে ইরান। আর তেহরান বলছে, তাদের আকাশসীমায় ঢুকার কারণেই গুলি করে ভূপাতিত করা হয়।

ইরান ইস্যুতে আলোচনা করতে সৌদি আরবে গেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। তিনি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তারা হরমুজ প্রণালীতে নৌ নিরাপত্তা নিয়ে কথা বলেছেন। তাদের মধ্যকার বৈঠক সফল হয়েছে বলে জানিয়েছেন পম্পেও।