ইসিতে যে ১১ প্রস্তাব দিয়েছে আ’লীগ

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সংলাপে ১১টি প্রস্তাব দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনের সাথে সংলাপ চলছে দলটির। বেলা ১১টায় কমিশন কার্যালয়ে শুরু হওয়া এ সংলাপে আওয়ামী লীগের ২১ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নিয়েছে। আওয়ামী লীগের ১১টি প্রস্তাব হলো- আরপিও-১৯৭২ ও দ্য ডিলিমিটেশন অব কন্সটিটিউশন অর্ডিনেন্স-১৯৭৬ এর বাংলা ভাষান্তরের উদ্যোগ প্রশংসনীয়, এতে আওয়ামী লীগের সমর্থন থাকবে। এক্ষেত্রে আরপিও এর ৯৪/এ ধারা অনুসরণযোগ্য।

নির্বাচনে অবৈধ অর্থ ও পেশি শক্তির ব্যবহার রোধকল্পে সংবিধানে বর্ণিত নির্বাচন সংক্রান্ত নির্দেশনা ও বিদ্যমান নির্বাচনী আইন ও বিধিমালা কঠোরভাবে প্রয়োগ করার প্রস্তাব দিয়েছে দলটি।

এ ছাড়া প্রজাতন্ত্রের কর্মে ও নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা কোনো ব্যক্তি বা সংস্থার অপেশাদার ও দায়িত্বহীন আচরণের কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেছে আওয়ামী লীগ।

ক্ষমতাসীনরা বেসরকারি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের পরিবর্তে প্রজাতন্ত্রের দায়িত্বশীল কর্মচারীদের যোগ্যতার ভিত্তিতে প্রিজাইডিং ও সহকারী অফিসার পদে নিয়োগের দাবি করেছে।

নির্বাচনে অংশগ্রহণে আগ্রহী প্রার্থীদের বাছাই করে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের মনোনীত প্রার্থীদের একটি চূড়ান্ত প্যানেল প্রণয়ন করতে প্রয়োজনে আরপিওর প্রয়োজনীয় সংশোধনের পরামর্শ দেয় আওয়ামী লীগ।

দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক নিয়োগে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা ও সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেয় দলটি। বিশেষ দল বা ব্যক্তির প্রতি আনুগত্যশীল ব্যক্তি বা সংস্থাকে দায়িত্ব না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

এ ছাড়া সাংবাদিকদের নির্বাচনী বিধিমালার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে দায়িত্ব পালনে নির্দেশনা দিতে প্রস্তাব দিয়েছে দলটি। সেইসঙ্গে তাদের উপযুক্ত পরিচয়পত্র প্রদান ও দায়িত্বকর্ম এলাকা নির্ধারণ করে দিতে বলেছেন তারা।

প্রার্থীদের নিয়োজিত পোলিং এজেন্টদের তালিকা ছবিসহ নির্বাচনের ৩ দিন আগে রিটার্নিং অফিসারের কাছে প্রদান করা এবং প্রিসাইডিং অফিসার কর্তৃক এজেন্টদের পরিচয় নিশ্চিত করে কেন্দ্রে প্রবেশ ও ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কেন্দ্রে থাকা নিশ্চিত করার প্রস্তাব তুলেছে আওয়ামী লীগ।

প্রস্তাবে রয়েছে, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে বর্তমান বিধিবিধানের পাশাপাশি আধুনিক রাষ্ট্রসমূহের মতো ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা।

পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃংখলা বাহিনীর হাতে আইনশৃংখলার দায়িত্ব দিতে বলছে দলটি। এ ছাড়া অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিরক্ষা বাহিনীকে আইনশৃংখলাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাবকে আইন ও সাংবিধানিক নিয়মের সাংঘর্ষিক বলে মন্তব্য করেছেন তারা। আইনশৃংখলার ক্ষেত্রে কোন পরিস্থিতিতে প্রতিরক্ষা বাহিনীকে নিয়োগ করা যাবে তা ফৌজদারি কার্যবিধি ও সেনা বিধিমালায় সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে বলে দাবি দলটির।

নতুন আদমশুমারী ব্যতীত সংসদীয় সীমানা পুনঃনির্ধারণ জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে বলে প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে।