‘ইস্যু সৃষ্টি করার জন্য মিথ্যা অভিযোগ করছেন মওদুদ আহম্মদ’

এইচ.এম আয়াত উল্যা, নোয়াখালী প্রতিনিধি : রাজনীতি ময়দানে কোনো ইস্যু না পেয়ে নতুন করে ইস্যু সৃষ্টি করার জন্য বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে মিথ্যা অভিযোগ করছেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিষ্টার মওদুদ আহম্মদ। শনিবার (২৯ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টায় কবিরহাট পৌর মিলনায়তনে ওবায়দুল কাদেরের নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) এর আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন। সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও কবিরহাট পৌর মেয়র জহিরুল হক রায়হান লিখিত বক্তব্য পাঠ করে বলেন, শুক্রবার ব্যারিষ্টার মওদুদ আহম্মদ তার কোম্পানীগঞ্জের নিজ বাসভবনে এক অনুষ্ঠানে তিনি আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেছেন আওয়ামীলীগ নাকি বিএনপিকে সভা-সমাবেশ করতে দিচ্ছে। তিনি এর সাথে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকেও জড়িয়ে নিয়ে মিথ্যা অভিযোগ করছেন। মূলত উপজেলা বিএনপির আভ্যন্তরীন দ্বন্দ্বের কারণে সংঘর্ষের আশংকা মনে করে প্রশাসন বসুরহাট পৌরসভা হলে বিএনপিকে সমাবেশ করার অনুমতি দেয়নি। এর দায়ভার কোনভাবেই আওয়ামীলীগের নয়। গত ৮ বছরে মওদুদ আহম্মদ এলাকায় এসেছেন, সভা-সমাবেশ করেছেন। তার অনুপস্থিতিতে তার দল বিএনপি প্রতিনিয়ত সভা-সমাবেশ করছে। আওয়ামীলীগ তাদের কোন অনুষ্ঠানে বাধা দেয়নি। তিনি যতবার এলাকায় এসেছেন তার দল তার উপস্থিতিতেই সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে আরো অভিযোগ করা হয়, ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত ব্যারিষ্টার মওদুদ আহম্মদ আইনমন্ত্রী থাকাকালীন সময় কবিরহাট ও কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের প্রায় ৫ হাজার নেতাকর্মীকে ঘর-বাড়ী ছাড়া করা হয়েছিল। অসংখ্য নেতাকর্মীর বাড়ীঘর, দোকানপাট, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছিল। গৃহপালিত পশু, পুকুরের মাছ, বাগানের গাছ ও জমির ফসল কেটে নেয়া হয়েছিল। অসংখ্য নেতা-কর্মী মিথ্যা মামলার হয়রানি শিকার হয়ে হামলার কারণে মৃত্যু ও শারীরিক পঙ্গুত্ব বরণ করেছিল। তারপরও তিনি আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন। ওবায়দুল কাদের নিজ নির্বাচনী এলাকার দলীয় নেতাকর্মীদেরকে বলেছেন, “কেউ অধম হলে আমরা উত্তম হবো না কেন”! মন্ত্রীর সে কথাকে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নির্দেশ মনে করে সহাবস্থানের রাজনীতি করে আসছে। কিন্তু মওদুদ আহমদ যখন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের গণতন্ত্রের শিক্ষা দেন, তখন সেটা হাস্যরসে পরিণত হয়। তিনি আদালতে মামলায় হেরে গিয়ে বাড়ী হারিয়েছেন, এখন সরকার ও আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারে লিপ্ত হয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন, কবিরহাট উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নুরুল আমিন রুমি। উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মফিজ উল্যাহ বি কম সহ উপজেলা ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এর আগে, দুপুরে একই বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে খান লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত। আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।