ঈদযাত্রায় আকাশপথে ২৭০০ টাকার টিকিট ৮০০০ টাকা!

বাস ও ট্রেনের টিকিটের মতো ঈদ যাত্রায় স্বস্তি নেই আকাশপথেও। ইতোমধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে কাঙ্ক্ষিত তারিখের ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ বিমান টিকিট। এই সুযোগে সব বিমান সংস্থা ভাড়া বাড়িয়েছে দুই থেকে তিন গুণ।

নভোএয়ার ও ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের জন্য বেশ কিছু রুটে অতিরিক্ত ফ্লাইট দিলেও ভাড়া নাগালের বাইরে। ট্রাভেল এজেন্টরা বলছেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা- সিভিল এভিয়েশনের তদারকি না থাকায় খেয়াল খুশিমতো ভাড়া বাড়াচ্ছে এয়ারলাইন্সগুলো।

সড়কপথে যানজট, দুর্ঘটনা, রেলপথে বিলম্ব ও নৌপথে ঝুঁকিসহ পোহাতে হয় নানা বিড়ম্বনা। তাই স্বাচ্ছন্দ্যে ভ্রমণের জন্য ঈদে বাড়ি যেতে সামর্থ্যবানদের পছন্দ আকাশপথ। তবে চাহিদার তুলনায় বিমান সংস্থাগুলোর ফ্লাইট কম থাকায় অধিকাংশ আসনের টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। অবিক্রিত যা আছে তার জন্য গুণতে হচ্ছে দ্বিগুণ মূল্য।

যাত্রীরা বলেন, ‘যে টিকিট ২৭০০ টাকা সেই টিকিট ৮০০০ টাকায় কেনা লাগছে। প্রতিজনের জন্যে তো ২ থেকে ৩ হাজার টাকা বেশি দিয়ে যাওয়া সম্ভব না।’

ট্রাভেল এজেন্টরা বলছেন, অতিরিক্ত মুনাফা না করে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের জন্য ছাড় দেয়া উচিত বিমান সংস্থাগুলোর।

আটাব মহাসচিব আব্দুস সালাম আরেফ বলেন, ‘ভাড়াটা কত নেয়া হচ্ছে বা কত বাড়তে পারে তা নিয়ে প্রতি মুহূর্তে তদারকি করা প্রয়োজন।’

বিমান সংস্থাগুলোর দাবি, ফিরতি ফ্লাইটে আসন ফাঁকা থাকায় খরচ উঠাতে টিকিটের দাম বেশি রাখা হচ্ছে। তবে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের জন্য ৮০টি অতিরিক্ত ফ্লাইট দিচ্ছে বেসরকারি এয়ারলাইনস ইউএস বাংলা ও নভোএয়ার। সম্প্রতি অভ্যন্তরীণ কয়েকটি রুটে ফ্লাইট দ্বিগুণ করায় এবার ঈদে বরিশাল ছাড়া অন্য রুটে ফ্লাইট বাড়াচ্ছে না বাংলাদেশ বিমান। তবে ঘরে ফেরা প্রবাসী যাত্রীদের জন্য মালয়েশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি রুটে ফ্লাইট বাড়াচ্ছে বিমান।

বিমানের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক শাকিল মেরাজ বলেন, ‘এপ্রিল মাস থেকে অভ্যন্তরীণ গন্তব্যে ফ্লাইট সংখ্যা দ্বিগুণ করা হয়েছে। ঢাকা থেকে সৈয়দপুরে যেখানে সপ্তাহে সাতটি ফ্লাইট ছিল সেখানে এখন ১৪টি করা হয়েছে। চট্টগ্রামে ৩৫ এবং সিলেটে ২৮ টি ফ্লাইট আছে।’

ইউএস বাংলার জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম বলেন, ‘যাওয়ার সময় ১০০ শতাংশ থাকছে, আসার সময় মাত্র ৫ থেকে ১০ শতাংশ যাত্রী আসছে। আমরা দাম বৃদ্ধি করিনি। কিন্তু টিকিটের দামের সমন্বয় করেছি মাত্র।’

অভ্যন্তরীণ সাতটি রুটে চারটি এয়ারলাইন্স প্রতিদিন গড়ে ৮ হাজার যাত্রী পরিবহন করে। ঈদে এই যাত্রী সংখ্যা বেড়ে হয় দ্বিগুণ।