ঈদের দিনে রায়পুরে নারীসহ ৪ জনকে কুপিয়ে জখম

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে পুর্বশত্রুতার জের ধরে সিএনজি চালকসহ তার স্ত্রী-পিতা ও মাতাকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে একই এলাকার প্রভাবশালী প্রতিপক্ষ।

ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সন্ধায় ৪নং সোনাপুর ইউপির পুর্ব সোনাপুর গ্রামের সৈয়াল বাড়িতে।

গুরুতর জখম নারীসহ ২ জনকে দ্রুত নোয়াখালী সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে রায়পুর সরকারি হাসপাতালের কর্তব্য ডাক্তার।

এ ঘটনায় রাতে আহত সিএনজি চালকের ফুফু ডলি বেগম ৫ জনকে আসামী করে রায়পুর থানায় হত্যার চেষ্টায় আইনে মামলা করেছেন।

মামলার বাদী ডলি বেগম জানান, প্রায় ৬ মাস আগে বাড়ির সামনে চা দোকানে জুয়া খেলা নিয়ে শাহ আলম ও বিল্লালের মধ্যে মারামারি ও একপর্যায়ে নিজেকে বাঁচাতে শাহআলমের শরীরে চায়ের গরম পানি ঢেলে দিয়ে পালিয়ে যায় বিল্লাল।

এ ঘটনায় ওই সময় আহত শাহআলমের বড় ভাই মাসুদ বাদী হয়ে বিল্লালসহ ৩ জনের নামে থানায় সাধারন ডায়রী করে রাখে।

মঙ্গলবার রাতে পরিবারের সাথে ঈদ করতে বাড়িতে আসেন বিল্লাল। এ সুযোগে শাহআলম ও তার ভাই মাসুদসহ ৪ জন একত্রে তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে বিল্লাল (৪৫) তার স্ত্রী ঝর্না বেগম (৩০), পিতা সাখাওয়াত উল্লা (৮০) ও মা তাজুন্নেছাকে (৬৫) কুপিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে মারাত্মক জখম করে।

এ সময় আক্রমণকারীরা বিল্লালের লক্ষাধিক টাকার মালামাল ভাংচুর ও আসবাবপত্র লুটপাট করে বলে অভিযোফ করেন ডলি বেগম। প্রতিবেশীরা জানায়, আহতদের চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে শাহআলম ও মাসুদসহ তাদের লোকজন পালিয়ে যায়। পরে আহতদের উদ্ধার করে রায়পুর সরকারি হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তার বাহারুল আলম আহত বিল্লাল ও তার স্ত্রী ঝর্ণা বেগমকে নোয়াখালী সদর হাসপাতালে পাঠান।

এ ঘটনায় যোগাযোগ করা হলে মাসুদ ও শাহআলম বলেন, পুর্বের মারামারীর ঘটনায় থানায় মামলায় পলাতক বিল্লালকে সন্ধায় আটক করতে গেলে তার পরিবার আমাদের উপর হামলা করে। আমরা কারো ওপর হামলা করিনি। আমরাও মামলার প্রস্তুতি নিয়েছি।

এ ঘটনায় থানার উপপরিদর্শক মানিক বড়ুয়া বলেন, আহত বিল্লালের ফুফু ডলি বেগম বাদী হয়ে মাসুদ ও শাহআলমসহ ৪ জনকে আসামী করে মামলা করেছেন। তা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।